Header Ads

Website Info Tech

ওয়েবসাইটের ডোমেইন ও হোস্টিং কী?

লেখক ও সম্পাদক : ইঞ্জিনিয়ার নাহিদ আলম - সাহন


slow internet for cyber attack

ডোমেইন ( Domain ) কী?

আপনি যখন ফেসবুক ভিজিট করেন, তখন নিশ্চয়ই খেয়াল করেছেন, ব্রাউজারে আপনাকে একটা এড্রেস এন্টার করতে হয়। এই facebook.com হচ্ছে ফেসবুকের এড্রেস। এখানে facebook.com হচ্ছে ডোমেইন নেম, যেখানে .com অংশটা মূলত domain suffix. এরকম আরও বেশ কিছু ডোমেইন সাফিক্স আছে যেমন .net , .info .gov
m.facebook.com এড্রেসে m হচ্ছে সাবডোমেইন। ইন্টারনেটে ওয়েব অ্যাড্রেসমূহ ইউআরএল (URL –  Uniform Resource Locator) হিসেবে পরিচিত।
সহজ কথায়, ডোমেইন নেম হচ্ছে একটা ওয়েবসাইটের নাম বা পরিচিতি।

ডোমেইন কেনো দরকার?

প্রত্যেকটা ওয়েবসাইটের জন্য একটা আইপি এড্রেস নির্ধারিত আছে (এটা শেয়ার্ডও হতে পারে)। আইপি এড্রেস হচ্ছে অনেকটা ফোন নাম্বারের মত। উদাহরণস্বরূপ 159.203.7.113 হচ্ছে একটা আইপি এড্রেস। এই নাম্বারটা ব্রাউজারের এড্রেস বারে হুবহু লিখে এন্টার করলে আপনি আমাদের ওয়েবসাইটে চলে আসবেন। এভাবে আলাদা আলাদা সাইটের জন্য আলাদা আইপি এড্রেস মনে রাখা খুব কঠিন কাজ। তার চেয়ে আমাদের সাইটের অ্যাড্রেস মনে রাখার জন্য engineernahidalam.blogspot.com ঠিকানাটি মনে রাখাই সহজ। এছাড়া গুগলে সার্চ করেও পাওয়া যাবে।
এজন্যই ডোমেইন নেম ব্যবহার করা হয়। একটা স্ট্যান্ডার্ড .Com ডোমেইনের দাম বর্তমানে মোটামুটি ১০-১২ ডলারের মত।
ডোমেইন হচ্ছে একটা ওয়েবসাইটের অস্তিত্বের পূর্বশর্ত, যেটা আন্তর্জাতিক একটা নিয়ন্ত্রক সংস্থার নিকট নিবন্ধন করাতে হয়। এজন্য সব মিলিয়ে ১০-১২ ডলার খরচ হবে। ডোমেইন কেনার জন্য জনপ্রিয় কিছু সার্ভিস হচ্ছে গোড্যাডি, নেমচিপ প্রভৃতি। ডোমেইন কিনতে চাইলে নেমচিপে আমার এই অ্যাফিলিয়েট এড্রেসে ভিজিট করতে পারেন।

হোস্টিং ( Hosting ) কী?

ডোমেইন কেনা হয়ে গেলে এবার আপনার সাইটের জন্য হোস্টিং সার্ভিস দরকার। কারণ সাইটের পোস্ট, ছবি প্রভৃতি সংরক্ষণের জন্য একটা জায়গা আবশ্যক। সাইটটি চালাতে যে সফটওয়্যার প্রয়োজন সেগুলোও তো কোথাও না কোথাও ইনস্টল করা থাকতে হবে, তাইনা? হোস্টিং হচ্ছে সেই জায়গা যেখানে আপনার সাইটের ফাইলপত্র সংরক্ষিত থাকে। বিভিন্ন কোম্পানি হোস্টিং সার্ভিস দিয়ে থাকে। জনপ্রিয় কয়েকটি হোস্টিং কোম্পানি হচ্ছে ডিজিটাল ওশান, হোস্টগেটর, ব্লুহোস্ট, ড্রিমহোস্ট প্রভৃতি। ব্যক্তিগতভাবে আমি ডিজিটাল ওশান পছন্দ করি। আপনি চাইলে ডিজিটাল ওশানে আমার এই অ্যাফিলিয়েট লিংক ভিজিট করে হোস্টিং কিনে ১০ ডলার বোনাস পেতে পারেন।

প্রতিদিন কম্পিউটার শাট ডাউন করা উচিত নাকি সবসময় চালুই রাখবেন?



কম্পিউটার ব্যবহারের পর পিসি বন্ধ করে রাখবেন, নাকি চালুই থাকবে? আপনার মনে যদি এমন প্রশ্ন এসে থাকে তবে আপনার প্রশ্নের উত্তর এখানে দেখে নিন। কম্পিউটার চালু কিংবা বন্ধ রাখা, দুইয়েরই সুবিধা-অসুবিধা রয়েছে। এখন আপনি কোনটি করবেন, তা নির্ভর করে আপনার পছন্দের ওপর। কেউ কেউ মনে করেন, কম্পিউটার শাট ডাউন করা পিসির জন্য ক্ষতিকর। আসলে এই ধারণাটি সম্পূর্ণ ভুল। কম্পিউটার সঠিক নিয়মে শাট ডাউন করতে পারলে তাতে ক্ষতির কিছু নেই, বরং উপকারী।
সারাদিন চালানোর পর আপনি নির্দ্বিধায় আপনার কম্পিউটার প্রতি রাতে বন্ধ করতে পারেন। তবে নিশ্চয়ই যা তা ভাবে বন্ধ করবেন না। কম্পিউটারে শাট ডাউন করার নির্দিষ্ট অপশন আছে, সেটা ব্যবহার করে এটা বন্ধ করতে হবে। সরাসরি ইউপিএস অফ করে নয়, কিংবা প্লাগ টেনে খুলে ফেলেও নয়।
ব্যবহারের পর সঠিকভাবে কম্পিউটার বন্ধ করা আপনার যন্ত্রের জন্য খুবই ভালো। প্রথমত এবং সর্বাগ্রে, বন্ধ অবস্থায় এটি আপনার বিদ্যুত অপচয় করছেনা। এছাড়া আপনাকে কম্পিউটারের কিছু অপ্রত্যাশিত সতর্কবাতাযুক্ত শব্দ আপনাকে বিরক্ত করছেনা।
আবার সবসময় চালু কম্পিউটারের সুবিধাও আছে। একটি চলমান কম্পিউটার সার্ভারের মত কাজ করতে পারে। বিভিন্ন ব্যাকআপ বা স্ক্যানিংয়ের কাজ করতে পারে। আপনি প্রতিনিয়ত বন্ধ করবেন নাকি করবেননা সম্পূর্ন আপনার উপর নির্ভর করে। চলুন দেখে নেই বন্ধ করা বা না করার সুবিধা অসুবিধাগুলো।

প্রতিদিন কম্পিউটার বন্ধ করার সুবিধা

* বিদ্যুতের অপব্যবহার রোধঃ কম্পিউটার, বিশেষ করে ডেস্কটপ চালাতে বেশ ভালই বিদ্যুতের দরকার হয়। কম্পিউটার বন্ধ করার ফলে এই অতিরিক্ত বিদ্যুত খরচ হবেনা আর আপনার বিদ্যুত বিলও কম আসবে।
* অস্থায়ী সিস্টেমের সমস্যাঃ অস্থায়ীভাবে আপনার সিস্টেমের কোনো সমস্যা হতেই পারে যা বেশিরভাগ সময় রিবুট (রিস্টার্ট) দিলে সমাধান হয়ে যায়।
* স্লো হওয়া থেকে রক্ষাঃ একটানা অনেক সময় কম্পিউটার ব্যবহার করলে এটা ধীরগতির হয়। বন্ধ করে পুনরায় চালু করলে কম্পিউটারের স্বাভাবিক গতি আবার ফিরে আসে।
* শব্দ থেকে মুক্তিঃ আপনার কম্পিউটার যদি চালু থাকে, তাহলে এর ফ্যান শব্দ করতে পারে যা অনেক সময় বিরক্তির কারণ হতে পারে। এছাড়া বিভিন্ন সতর্কবার্তা তো আছেই। শাট ডাউন করে দিলে আর এই সমস্যা থাকেনা।
* স্থায়িত্বঃ কম্পিউটারের সীমিত ব্যবহার আপনার যন্ত্রটিকে আরো দীর্ঘস্থায়ী করে।

প্রতিদিন কম্পিউটার বন্ধ করার অসুবিধা

* স্টার্টাপ টাইমঃ প্রতিনিয়ত শাট ডাউন আর বুট আপ চক্র কোনো কোনো ক্ষেত্রে অসুবিধাজনকও মনে হতে পারে। আপনার পিসি স্টার্ট নিতে প্রতিবার কিছুটা সময় নিবে। আর যদি কোনো ফাইল সেইভ না করেই পিসি বন্ধ করে ফেলেন তাহলে ঐ ফাইল ফিরে পাবার সম্ভাবনা কম, যদিনা এটা অনলাইনে থাকে কিংবা রিকভারি অপশন থাকে।
* বিদ্যুৎ ব্যবহারঃ আপনার পিসি অন রাখার কারণে বিদ্যুৎ ব্যবহার হয়, এটা সত্যি। যদি এমন হয় যে, ল্যাপটপে চার্জ কম আছে, কিন্তু অল্প সময়ের ব্যবধানে আবার পিসি কাজে লাগবে, এমন অবস্থায় ল্যাপটপটি বন্ধ না করে বরং স্লিপ বা হাইবারনেট মুডে রাখা ভালো, কারণ একবার বন্ধ হয়ে আবার স্টার্ট নিতেও পিসির বেশ খানিকটা বিদ্যুৎ দরকার পড়ে, যা পুরোপুরি বন্ধ রাখার কারণে সাশ্রয়কৃত বিদ্যুতের পরিমাণের থেকে বেশি হয়ে যেতে পারে।
আপনি যদি কম্পিউটার বার বার শাট ডাউন করতে না চান, এবং লম্বা সময় নিয়ে পিসিতে বিভিন্ন প্রজেক্টের কাজ করেন, তাহলে পিসি হাইবারনেট করে রাখলে কিছুটা সময় বাঁচাতে পারেন। এতে কোন অর্ধসমাপ্ত ফাইল মুছেও যাবেনা এবং আপনি যেখানে শেষ করেছেন সেখান থেকেই শুরু করতে পারবেন। পিসি পুনরায় চালু করতে সময়ও কম লাগবে। আর যদি সময় করে প্রতিবার পিসি স্বাভাবিক নিয়মে শাট ডাউন করে রাখেন, তাহলে সবচেয়ে ভাল হয়। অবশ্য, প্রয়োজনের সময় ল্যাপটপের চার্জ কম থাকার ব্যাপারটিও মাথায় রাখতে হবে, সেক্ষেত্রে অল্প সময়ের জন্য হাইবারনেট বা স্লিপ মুডে রাখতে পারেন।

লেখা বা ছবি কপি করা দন্ডনীয় অপরাধ

No comments

Theme images by enot-poloskun. Powered by Blogger.