Header Ads

About Bill Gates

বিল গেটস সম্পর্কে অবিশ্বাস্য কিছু তথ্য যা আপনি জানতেন না

লেখক ও সম্পাদক : ইঞ্জিনিয়ার নাহিদ আলম - সাহন


বিল গেটসকে চেনেন না এমন লোক ডিজিটাল দুনিয়ায় খুঁজে পাওয়া যাবেনা। বহুল আলোচিত হার্ভার্ড ড্রপআউট, মাইক্রোসফটের সহপ্রতিষ্ঠাতা ও বিশ্বনন্দিত জনহিতৈষী- বিল গেটস সম্পর্কে এগুলো হচ্ছে সবচেয়ে প্রচলিত তথ্য। কিন্তু ব্যক্তি বিল গেটস যে কী রকম প্রতিভার অধিকারী তা আমাদের অনেকেরই অজানা। চলুন জেনে নিই বিল গেটসের জীবন থেকে নেয়া কিছু ঘটনা, যা তার অসাধারণ প্রতিভা ও ব্যক্তিত্বের স্বাক্ষর বহন করে।

ক্লাস না করেও এ গ্রেড

হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ে বিল গেটস যেসব কোর্স নিয়েছিলেন তার কোনোটির ক্লাসেই  তিনি কখনো উপস্থিত হননি। বরং অন্য কোর্সের ক্লাস করতেন গেটস। তারপরেও নিজের কোর্সে প্রায় সব সময়ই এ গ্রেড পেতেন এই জিনিয়াস!

নম্বর প্লেট মুখস্থ রাখা

মাইক্রোসফটের শুরুর দিকে বিল গেটস অত্যন্ত কঠোর পরিশ্রম করতেন। তিনি ছুটির দিনেও কাজ করতেন। কর্মীরা ঠিকভাবে কাজ করছে কিনা তা নজর রাখার জন্য তিনি সকল কর্মীর যানবাহনের নম্বর প্লেট মুখস্থ রাখতেন যাতে জানা যায় কে কখন আসছেন/যাচ্ছেন।

‘বান্ধবীময়’ ক্লাস শিডিউল

হাইস্কুলে পড়ার সময় বিল গেটসকে একবার কম্পিউটারে ক্লাস রুটিন করার কাজ দেয় স্কুল কর্তৃপক্ষ। বিল গেটস এই সুযোগ কাজে লাগিয়ে এমন একটি শিডিউল তৈরি করেন যেখানে তার ক্লাসে তার পছন্দের সকল বালিকারা উপস্থিত থাকেন!

হ্যাকার বিল গেটস

বিল গেটস ও পল অ্যালেন (মাইক্রোসফটের আরেকজন সহপ্রতিষ্ঠাতা) হাইস্কুলে পড়ার সময় ধার করে কম্পিউটার চালাতেন। যেখান থেকে তারা কম্পিউটার এক্সেস করতেন সেখানে একটি কোম্পানির কিছু ফ্রি একাউন্ট ছিল। সেই কোম্পানির একটি একাউন্টিং ডকুমেন্ট হ্যাক করে বিল গেটস ও তার বন্ধু ফ্রি কম্পিউটার এক্সেসের একাউন্ট খোঁজ করেছিলেন। যদিও শেষ পর্যন্ত তারা সফল হননি।

বিমানের কন্ট্রোল প্যানেল হাইজ্যাক

১৯৮০ সালের শেষ দিকে বিল গেটস ও পল অ্যালেন সান ফ্রানসিসকো আন্তর্জাতিক বিমান বন্দরে দেরি করে পৌঁছানোর কারণে ফ্লাইট মিস্‌ করেন। ইতোমধ্যেই বিমান যাত্রা শুরু করেছিল। কিন্তু বিল গেটস নাছোড়বান্দা। তিনি বিমানবন্দরে নিয়ন্ত্রণকক্ষে ঢুকে পড়েন ও সেখানে বিভিন্ন বাটন টিপে প্লেনটিকে ফিরিয়ে আনার চেষ্টা করেন। অ্যালেন ভেবেছিলেন গেটস বুঝি আজ পুলিশের নিকট ধরা পড়ে যাবেন, কিন্তু শেষ পর্যন্ত এয়ালাইনের কেউ একজন বিমানটিকে ফিরিয়ে এনে তাদের জন্য যাওয়ার ব্যবস্থা করে দেন!

নিজ হাতে থালা-বাসন ধোয়া

প্রতিরাতে নিজ হাতে থালা-বাসন ধৌত করেন বিল গেটস! ২০১৪ সালে রেডিটে এক এএমএ সেশনে বিল গেটস বলেন, “প্রতিরাতে আমি ডিশগুলি ধুয়ে থাকি, অন্যরা (এ কাজে আমাকে) সাহায্য করে, কিন্তু আমি এটা নিজের মত করে করতে পছন্দ করি।”

বিল গেটসের লোকহিতৈষী হয়ে ওঠার পেছনের গল্প


‘বিল অ্যান্ড মিলিন্ডা গেটস ফাউন্ডেশন’ হচ্ছে মাইক্রোসফটের সহপ্রতিষ্ঠাতা বিল গেটস ও তার স্ত্রী মিলিন্ডা গেটসের দাতব্য সংস্থা। এটি গেটস ফাউন্ডেশন নামেও পরিচিত। ২০০০ সালে চালু হওয়া এই সংস্থাটি বিশ্বের সবচেয়ে বড় স্বচ্ছভাবে পরিচালিত প্রাইভেট ফাউন্ডেশন হিসেবে পরিচিত। সংস্থাটি মূলত স্বাস্থ্যসেবার উন্নতি ও দরিদ্র জনগোষ্ঠীর উন্নয়ন নিয়ে কাজ করছে। আপনারা কি জানেন কীভাবে প্রতিষ্ঠিত হয় ‘বিল অ্যান্ড মিলিন্ডা গেটস ফাউন্ডেশন’? আসুন জানা যাক সেই কথা।

 https://www.youtube.com/watch?v=3sucEddzDwY

বিল গেটস সবসময় ভাবতেন কীভাবে পৃথিবীর সকল মানুষকে কম্পিউটার কানেকশনের মধ্যে আনা যায়। যাদের অন্ন, বস্ত্র, বাসস্থান এবং নিরাপত্তা আছে তারাই কেবল কম্পিউটার ব্যবহার করে তাদের জীবনকে আরও সাবলীল করতে পারেন। কিন্তু যাদের মৌলিক চাহিদা পূরণ হচ্ছে না তাদের কাছে যোগাযোগ প্রযুক্তি কোন প্রয়োজনীয়তা সৃষ্টি করে না।
বিল গেটস প্রত্যন্ত অঞ্চলের মানুষের চাহিদা উপলব্ধি করতে একবার আফ্রিকা যান এবং সেখানে গিয়ে তিনি অনাহার, রোগে আক্রান্ত লোকদের ভোগান্তি দেখে চরমভাবে ব্যাথিত হন। এরপর তিনি তার স্ত্রীকে ফোন করে সেখানকার অভিজ্ঞতার কথা জানান। আর তখন থেকেই তার মনে সে সমস্ত জরা জীর্ণ সমস্যাগ্রস্থ লোকদের জন্য কিছু করার তাগিদ অনুভব করেন। আর সেখান থেকেই বিল এবং মিলিন্ডা গেটস ফাউন্ডেসনের উৎপত্তি।

লেখা বা ছবি কপি করা আইনত দন্ডনীয় অপরাধ

No comments

Theme images by enot-poloskun. Powered by Blogger.