Header Ads

Info Tech 2


উইন্ডোজ পিসিতে সিস্টেম ইমেজ ব্যাকআপ রাখুন, বার বার সেটআপ দেয়ার ঝামেলা থেকে বাঁচুন!

লেখক ও সম্পাদক : ইঞ্জিনিয়ার নাহিদ আলম - সাহন

windows system image backup
উইন্ডোজ অপারেটিং সিস্টেমে ম্যালওয়্যার/ভাইরাস ধরা কিংবা সফটওয়্যারের মিসকনফিগারেশনের কারণে বিভিন্ন সময়ে পিসি সেটআপ দেয়ার প্রয়োজন হতে পারে। কিন্তু কম্পিউটারে উইন্ডোজ ইনস্টল করা (সেটআপ দেয়া) বেশ সময়সাপেক্ষ একটি কাজ। একবার সেটআপ দেয়া মানেই নতুন করে আবার সকল সফটওয়্যার ইনস্টল করা, ড্রাইভার দেয়া, কাস্টমাইজ করা সহ আরও অনেক কিছু। কিন্তু উইন্ডোজের একটি সিস্টেম ইমেজ ব্যাকআপ তৈরি করে রাখলে সেটি আপনার বিপদের বন্ধু হতে পারে।
কোনো কারণে পিসির সফটওয়্যার জনিত সমস্যা দেখা দিলে, ভাইরাসের আক্রমণে সেটআপ দেয়ার দরকার হলে সেই সময় সিস্টেম ইমেজ ব্যাকআপ থাকলে আপনি নতুন করে পিসি সেটআপ দেয়ার হাত থেকে রক্ষা পেতে পারেন।
“সিস্টেম ইমেজ” হচ্ছে আপনার কম্পিউটারের সিস্টেম ড্রাইভের একটি হুবহু কপি। আপনার সিস্টেম ড্রাইভ (সাধারণত “সি” ড্রাইভ) এর যাবতীয় ফাইলের ব্যাকাপ। একটি সিস্টেম ইমেজ ব্যাকাপ তৈরি করে তা যেকোন সময় রিস্টোর করলে আপনি ব্যাকাপ তৈরির তারিখে ফিরে যাবেন। এটি এক প্রকার “টাইম মেশিন”।
ধরুন, ব্যাকাপ তৈরির সময় আপনার পিসির উইন্ডোজ জেনুইন ছিল। এরপর কোন এক সময় ভাইরাস/ম্যালওয়্যারের আক্রমণে তা জেনুইনিটি হারায়। তখন সিস্টেম ইমেজ রিস্টোর করলে আপনি আবারো হারানো জেনুইনিটি ফিরে পাবেন।
সবচেয়ে নিরাপদ উপায় হচ্ছে সি ড্রাইভ ফর্ম্যাট দিয়ে ফ্রেশ উইন্ডোজ সেটআপ দিয়ে সকল “ব্যাসিক” সফটওয়্যার ইনস্টল করে একটি সিস্টেম ইমেজ তৈরি করে নেয়া। ব্যাকাপ ফোল্ডারটি পিসির কোনো ড্রাইভে সেইভ করুন। অবশ্য এক্সটার্নাল ড্রাইভেও সেভ করা সম্ভব।

কীভাবে তৈরি করবেন সিস্টেম ইমেজ?

খুব সহজ। উইন্ডোজ ৭ এর ক্ষেত্রে নিচের ধাপগুলো অনুসরণ করুনঃ

> Control panel ওপেন করুন
> System and Security অপশনে যান
> Backup and Restore ওপেন করুন
বামপাশে উপরের দিক থেকে ক্লিক করুনঃ “Create a system Image”
এরপর আপনার পছন্দমত ব্যাকাপ লোকেশন বেছে নিন। ব্যাকাপ আইটেমে স্বয়ংক্রিয়ভাবেই প্রয়োজনীয় ড্রাইভগুলো সিলেক্ট করা থাকবে, তাই এখানে আপনার কিছু সিলেক্ট করতে হবেনা।
এভাবে সিস্টেম ইমেজ তৈরি হয়ে গেলে পরবর্তিতে পিসিতে সমস্যা হলে তখন তা রিস্টোর করার জন্য নিচের স্টেপগুলো অনুসরণ করুন।
> Control Panel
> System and Security
> Backup and Restore
সেখান থেকে “Recover System Settings or Your Computer” তে গিয়ে
> Advance Recovery Method
> Use a System Image You Created Earlier to Recover Your Computer

উইন্ডোজ ৭ এ সিস্টেম ইমেজ রিস্টোর করার উপায়

এখন আপনি সিস্টেম ড্রাইভের ডকুমেন্ট ব্যাকাপ করার অপশন পাবেন। তারপর কম্পিউটার রিস্টার্ট নিয়ে রিস্টোর প্রক্রিয়া শুরু হবে। এতে সব মিলিয়ে সাধারণত ৫-৬ মিনিট লাগে।
ভাইরাসের আক্রমণে যদি উইন্ডোজ স্টার্ট না নেয়, তবে পাওয়ার বাটন চেপে উইন্ডোজ লোগো আসার আগেই F8 বার বার প্রেস করতে থাকুন। এরপর “এডভান্সড বুট অপশন” থেকে “রিপেয়ার ইওর কম্পিউটার” সিলেক্ট করে “সিস্টেম ইমেজ রিকভারি”তে ক্লিক করুন। সেখান থেকে আগের মত আপনার ব্যাকাপ ফাইলটি দেখিয়ে দিন। এরপর শুরু হবে রিস্টোর প্রক্রিয়া।

উইন্ডোজ ৮ ও ৮.১ এ সিস্টেম ইমেজ তৈরি করার উপায়

উইন্ডোজ ৮ বা ৮.১ এর ক্ষেত্রে সিস্টেম ইমেজ ব্যাকআপ তৈরি করতে চাইলে Control Panel > System and Security > File History অপশনে যান। অথবা স্টার্ট মেন্যু ওপেন করুন। এরপর File History লিখে স্টার্ট মেন্যুতে সার্চ করুন। ফাইল হিস্ট্রি উইন্ডো ওপেন হলে স্ক্রিনের নিচের দিকে বাম পাশে সিস্টেম ইমেজ ব্যাকাপের অপশন পাবেন। বাকী সব প্রক্রিয়া উইন্ডোজ সেভেনের মতই।

উইন্ডোজ ৮ ও ৮.১ এ সিস্টেম ইমেজ রিস্টোর করার উপায়

উইন্ডোজ ৮ ও ৮.১ এ সিস্টেম ইমেজ ব্যাকআপ রিস্টোর করতে চাইলে এভাবে অগ্রসর হোনঃ
> Settings
> Change PC Settings
> Update and recovery
> Recovery
> Advanced Startup অপশনে থাকা Restart now বাটনে ক্লিক করুন। পিসি রিস্টার্ট নেবে।
এরপর বুট মেন্যুতে Troubleshoot মেন্যু আসবে। সেখান থেকে এভাবে অগ্রসর হোনঃ
> Advanced Options
> System image recovery
এরপর কম্পিউটার নিজেই স্ক্যান করে সিস্টেম ইমেজ ব্যাকআপ খুঁজে বের করবে। অন-স্ক্রিন নির্দেশনা অনুসরণ করুন।

উইন্ডোজ ১০ এ সিস্টেম ইমেজ তৈরি করার উপায়

উইন্ডোজ ১০ এ সিস্টেম ইমেজ ব্যাকআপ তৈরি করতে চাইলে নিচের স্টেপগুলো অনুসরণ করুন।
> স্টার্ট বাটনে ক্লিক করুন
> Settings ওপেন করুন
> Update & Security সেকশন ওপেন করুন
> স্ক্রিনের উপরের দিকে বামপাশে থাকা Backup ট্যাব ওপেন করুন
> স্ক্রিনের মাঝখানে নিচের দিকে Go to Backup and Restore (Windows 7) অপশন পাবেন। সেটা ওপেন করলে উইন্ডোজ ৭ এর মতই সিস্টেম ইমেজ ব্যাকআপ তৈরির প্রোগ্রাম আসবে।

উইন্ডোজ ১০ এ সিস্টেম ইমেজ রিস্টোর করার উপায়

উইন্ডোজ ১০ এ সিস্টেম ইমেজ রিস্টোর করতে চাইলে নিচের স্টেপগুলো অনুসরণ করুন।
> স্টার্ট বাটনে ক্লিক করুন
> Settings ওপেন করুন
> Update & Security সেকশন ওপেন করুন
> স্ক্রিনের উপরের দিকে বামপাশে থাকা Recovery ট্যাব ওপেন করুন
> স্ক্রিনের মাঝখানে নিচের দিকে Advanced Startup অপশন পাবেন। সেখানে Restart Now বাটন পাবেন যা প্রেস করলে পিসি রিস্টার্ট নেবে। এরপর যে স্ক্রিন আসবে সেখান থেকে সিস্টেম ইমেজ রিস্টোর করতে পারবেন।

আপনি উইন্ডোজের যে ভার্সনই (৭, ৮, ৮.১, বা ১০) ব্যবহার করেন না কেন, সিস্টেম ইমেজ তৈরির সময় কাঙ্ক্ষিত ড্রাইভের রুট লোকেশনে ব্যাকাপটি সেইভ করুন, যাতে ড্রাইভটি ওপেন করলেই সরাসরি WindowsImageBackup (অর্থাৎ Windows Image Backup) ফোল্ডারটি দেখা যায়। এই ফোল্ডারটি নিজে কখনো ওপেন করবেন না বা কাট করে অন্য কোথাও রাখবেন না। ড্রাইভের রুট লোকেশনে না থাকলে রিস্টোর করার সময় ব্যাকআপ ফোল্ডার খুঁজে পেতে সমস্যা হতে পারে।

হ্যাকিংয়ের হাত থেকে রক্ষা করুন জিমেইল একাউন্ট! (২-স্টেপ ভেরিফিকেশন)

google security 2 step verificationগুগলের ইমেইল সেবা ‘জিমেইল’ বিশ্বজুড়ে তুমুল জনপ্রিয়। গুগলের সকল সেবা ব্যবহারের জন্য একটি জিমেইল একাউন্টই যথেষ্ট। এজন্য একে ‘গুগল একাউন্ট’ও বলা হয়ে থাকে। সম্প্রতি অ্যাপলের আইক্লাউড হ্যাক হয়েছে এবং বেশ কয়েকজন সেলিব্রেটির ব্যক্তিগত ছবি ফাঁস হয়ে গেছে। ঐ ঘটনার পর এখন সবাই নতুন করে তাদের নিজ নিজ অনলাইন সেবার নিরাপত্তা বৃদ্ধির উপায় খুঁজছেন। এই পোস্টে জিমেইল একাউন্টের নিরাপত্তামূলক ফিচার ‘টু-স্টেপ ভেরিফিকেশন’ চালুর উপায় আলোচনা করা হবে। চলুন শুরু করি।
টু-স্টেপ ভেরিফিকেশন পদ্ধতিতে বিভিন্ন ওয়েবসাইট সেগুলোর ব্যবহারকারীদের ইউজারনেম-পাসওয়ার্ড ছাড়া দ্বিতীয় একটি উপায়ে পরিচয় সম্পর্কে নিশ্চিত হয়। এটি ব্যবহার করলে প্রতিবার নতুন ডিভাইস/ব্রাউজারে আপনার কাঙ্ক্ষিত সেবায় (উদাহরণস্বরূপ জিমেইলে) সাইন ইন করার সময় ইউজারনেম-পাসওয়ার্ড ইনপুট করার পরেও সেখানে আরেকটি পিন কোড দিতে হবে। এই কোডটি মোবাইলে এসএমএসের মাধ্যমে আসে। এগুলোকে সিক্যুরিটি কোডও বলা হয়, যা প্রতিবারই সার্ভার থেকে পাঠানো হয়।
টু-স্টেপ ভেরিফিকেশন একটিভ থাকা যেকোন একাউন্ট হ্যাক করতে চাইলে কমপক্ষে তিনটি বিষয় দখলে থাকতে হবে। সেগুলো হচ্ছে ইউজারনেম, পাসওয়ার্ড এবং যে মোবাইল নাম্বারে সেবাটি রেজিস্ট্রেশন করা আছে/ সিক্যুরিটি কোড। ইউজারনেম-পাসওয়ার্ড নিয়ে নিলেও একই সময়ে আপনার মোবাইল ফোনটি হ্যাকারের হাতে যাওয়ার সম্ভাবনা কম। তাই জিমেইলে সাইন-ইন করার সময় সিস্টেম যখন মোবাইলে এসএমএসে আসা পিন চাইবে তখন সেটি তাদের পক্ষে দেয়া সম্ভব হবেনা। আর এই যাত্রা আপনার একাউন্টটিও হ্যাকিংয়ের হাত থেকে রক্ষা পাবে।
জিমেইলে টু-স্টেপ ভেরিফিকেশন চালু করতে চাইলে প্রথমেই আপনার জিমেইল একাউন্টে লগইন করুন। এরপর https://accounts.google.com/SmsAuthConfig লিংক ভিজিট করুন।
two step gmail ss1
এখানে আপনার জিমেইল একাউন্টে টু-স্টেপ ভেরিফিকেশন চালু আছে কিনা তা দেখা যাবে। যদি চালু না থাকে তবে ‘স্টার্ট সেটআপ’ বাটনে ক্লিক করুন।
2 step verification gmail ss 2
এখন আপনার কাছে মোবাইল নম্বর চাওয়া হবে। মোবাইল নম্বর লিখে ‘সেন্ড কোড’ বাটনে ক্লিক করলে নতুন একটি পেজ আসবে এবং মোবাইলেও একটি কোড নাম্বার আসবে।
2 step verify gmail 3
এবার ‘এন্টার ভেরিফিকেশন কোড’ লেখা বক্সে কোডটি লিখে ‘ভেরিফাই’ বাটনে ক্লিক করুন।
2 step verify gmail 4
আপনি যে কম্পিউটারে এই কাজগুলো করছেন, সেটি যদি আপনার নিজের/বিশ্বস্ত কম্পিউটার হয়ে থাকে, তাহলে ‘ট্রাষ্ট দিজ কম্পিউটার’ বক্সে টিক চিহ্ন দিয়ে ‘নেক্সট’ বাটনে ক্লিক করুন।
2 step verification gmail 5 cnfrm
সবশেষে ‘টার্ন অন ২-স্টেপ ভেরিফিকেশন’ অপশনে ‘কনফার্ম’ বাটনে ক্লিক করে ফিচারটি চালু করে নিন।
টু স্টেপ ভেরিফিকেশন সফলভাবে চালু হলে এরপর থেকে নতুন কোন ব্রাউজারে লগইন করতে গেলে সিক্যুরিটি কোড চাইবে এবং সেটি এন্টার করার পর ব্রাউজারটি “ট্রাষ্ট” করার অপশন আসবে। অর্থাৎ, আপনার নিজের পিসি বা মোবাইল হলে এর ব্রাউজার গুগল সার্ভারে “ট্রাষ্ট”/ “সেভ” করে নিতে পারবেন। এতে প্রতিবার লগইন করার সময় এসএমএস কোড দিতে হবেনা। শুধু ইউজারনেম (বা ইমেইল)- পাসওয়ার্ড দিলেই চলবে।
কিছু কিছু অ্যাপস্‌ টু-স্টেপ ভেরিফিকেশন চালু থাকা জিমেইলে সাইন-ইন সাপোর্ট করেনা। সেক্ষেত্রে অ্যাপ স্পেসিফিক পাসওয়ার্ড সেট করে নিন। টু স্টেপ ভেরিফিকেশন চালু থাকা অবস্থায় যদি মোবাইলে কোনো সমস্যা হয় কিংবা সিম কার্ড হারিয়ে যায়, তাহলে এসএমএসে কোড পেতে সমস্যা হতে পারে। এজন্য ফিচারটি চালু থাকা অবস্থায় https://accounts.google.com/SmsAuthConfig ঠিকানা ভিজিট করে আরেকটি ব্যাকআপ মোবাইল নম্বর যোগ করে নিতে পারেন। এছাড়া এখান থেকে ব্যাকআপ ভেরিফিকেশন কোডও ডাউনলোড করে নেয়া যাবে। ফলে এসএমএসের জন্য অপেক্ষা না করে আপনার কাছে থাকা ব্যাকআপ কোড দিয়েই লগইন করতে পারবেন।


ফেসবুক টু-স্টেপ ভেরিফিকেশন চালু করে হ্যাকিং থেকে সুরক্ষিত থাকুন!

fb securityসবাই চায় তার ফেসবুক একাউন্টের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে। এজন্য বড় বড় অদ্ভুত সব পাসওয়ার্ড দেয় কেউ কেউ। কিন্তু যতই কঠিন লগইন ডিটেইলস সেট করুন না কেন, প্রযুক্তিগতভাবেই আপনার ফেসবুকসহ ইমেইল এড্রেস ও অন্যান্য পাসওয়ার্ডও বেহাত হওয়ার ঝুঁকি আছে। আর এই বিপদের হাত থেকে কিছুটা নিরাপদ রাখতে ফেসবুক, গুগল ও আরও কিছু অনলাইন সেবাদাতা কোম্পানি “টু-স্টেপ ভেরিফিকেশন” সুবিধা চালু করেছে। এটি ব্যবহার করলে প্রতিবার নতুন ডিভাইস/ব্রাউজারে আপনার কাঙ্ক্ষিত সেবায় (উদাহরণস্বরূপ ফেসবুকে) সাইন ইন করার সময় ইউজারনেম-পাসওয়ার্ড ইনপুট করার পরেও সেখানে আরেকটি পিন কোড দিতে হবে। এই কোডটি মোবাইলে এসএমএসের মাধ্যমে আসে। এগুলোকে সিক্যুরিটি কোডও বলা হয়, যা প্রতিবারই সার্ভার থেকে পাঠানো হয়।
টু-স্টেপ ভেরিফিকেশন একটিভ থাকা যেকোন একাউন্ট হ্যাক করতে চাইলে কমপক্ষে তিনটি বিষয় দখলে থাকতে হবে। সেগুলো হচ্ছে ইউজারনেম, পাসওয়ার্ড এবং যে মোবাইল নাম্বারে সেবাটি রেজিস্ট্রেশন করা আছে/ সিক্যুরিটি কোড। ইউজারনেম-পাসওয়ার্ড নিয়ে নিলেও একই সময়ে আপনার মোবাইল ফোনটি হ্যাকারের হাতে যাওয়ার সম্ভাবনা কম। তাই ফেসবুকে সাইন-ইন করার সময় সিস্টেম যখন মোবাইলে এসএমএসে আসা পিন চাইবে তখন সেটি তাদের পক্ষে দেয়া সম্ভব হবেনা। আর এই যাত্রা আপনার একাউন্টটিও হ্যাকিংয়ের হাত থেকে রক্ষা পাবে।
লগিন এপ্রুভাল চালু করতে চাইলে প্রথমে আপনার ফেসবুকে সাইনইন করুন।
এরপর ফেসবুক  Account Settings > Security সেকশনে থাকা Login Approvals এর Require me to enter a security code each time an unrecognized computer or device tries to access my account এ চেক মার্ক করুন (টিক দিন)।
এবার Next  ক্লিক করে মোবাইলে SMS এ প্রাপ্ত কোড লিখে Next  চাপুন এবং Save বাটনে ক্লিক করুন।
[আপনার ফেসবুক একাউন্টে আগে থেকে যদি কোন মোবাইল নাম্বার যুক্ত করা না থাকে তাহলে লগইন এপ্রুভাল চালু করতে চাইলে তখন নাম্বার ইনপুট দিতে হবে]
ফিচারটি সফলভাবে চালু হলে এরপর থেকে নতুন কোন ব্রাউজারে লগইন করতে গেলে সিক্যুরিটি কোড চাইবে এবং সেটি এন্টার করার পর ব্রাউজারটি “সেভ” করার অপশন আসবে। অর্থাৎ, আপনার নিজের পিসি বা মোবাইল হলে এর ব্রাউজার ফেসবুক সার্ভারে “সেভ” করে নিতে পারবেন। এতে প্রতিবার লগইন করার সময় এসএমএস কোড দিতে হবেনা। শুধু ইউজারনেম (বা ইমেইল)- পাসওয়ার্ড দিলেই চলবে।
কিন্তু… টু স্টেপ ভেরিফিকেশন (আরেক নাম ‘লগইন এপ্রুভাল) চালু থাকলে এর কিছু ঝুঁকিও আছে। কোন কোন সময় আপনি নিজেই একাউন্টের বাইরে লকড হয়ে যেতে পারেন। সেক্ষেত্রে নিজের একাউন্টে এক্সেস পাবেন না। ব্যাপারটি বেশ বিব্রতকর; কোন কোন ক্ষেত্রে বিপজ্জনকও বটে!
কখনো কখনো ফেসবুক সার্ভার থেকে মোবাইলে সিক্যুরিটি কোডের SMS আসতে দেরি করে। এমনকি কয়েক দিনও লেগে যায়। এসব ক্ষেত্রে একাউন্টে লগইন করাই সম্ভব হয়না। তখন কী করবেন?
‘ভাবিয়া করিও কাজ, করিয়া ভাবিও না…!’
এ ধরণের বিরক্তিকর পরিস্থিতি থেকে বাঁচতে সবসময় কমপক্ষে একটি বিকল্প ব্যবস্থা রাখুন। আপনার পিসির একাধিক ব্রাউজার এবং আপনার মোবাইলের ব্রাউজার ফেসবুক সার্ভারে আগে থেকেই “সেভ” করে রাখুন। হঠাত পিসি নষ্ট হয়ে গেলে কিংবা অপারেটিং সিস্টেম সেটআপ দেয়ার পর নতুন ব্রাউজার থেকে লগইন করার সময় এসএমএস পিন আসতে দেরি হলে এটা কাজে দেবে। যেহেতু আপনার মোবাইল ফোনের ব্রাউজার আগে থেকেই এপ্রুভ করা আছে, তাই এটা ব্যবহার করতে আপনার কোন পিন লাগবেনা। আর এখান থেকেই আপনি কম্পিউটারের নতুন ব্রাউজারকেও ভেরিফাই করতে পারবেন। SMS কোড না আসলেও কোন ব্যাপার না।
এজন্য প্রথমেই পিসির নতুন ব্রাউজারে ফেসবুক ইউজারনেম-পাসওয়ার্ড এন্টার করুন। এখন সিক্যুরিটি কোড চাইবে। মেসেজ আসতে দেরি হলে সরাসরি (আগে থেকে রেজিস্টার্ড) মোবাইল ব্রাউজার থেকেই ফেসবুক হোমপেজ ভিজিট করুন। সেখানে “আনঅথরাইজড লগইন এটেম্পট” সঙ্ক্রান্ত একটি নোটিফিকেশন আসবে। নোটিফিকেশনটি সিলেক্ট করে সেখানে ব্রাউজার ও ওএস ভার্সন মিলিয়ে নিয়ে লগইন সেশনটি এপ্রুভ করে দিন। নতুন ব্রাউজারটি সেভ করে নিতেও ভুলবেন না।
এবার পিসিতে গিয়ে ফেসবুকের পেজটি রিফ্রেশ করুন। দেখবেন আপনি সরাসরি হোমপেজে চলে এসেছেন!
এছাড়া এন্ড্রয়েড স্মার্টফোন বা আইফোন থাকলে কোড জেনারেটর এপ দিয়ে অনলাইনে পিন কোড তৈরি করতে পারেন। অথবা একাউন্ট সেটিংসের লগইন এপ্রুভাল অপশনে গিয়ে ১০টি কোড আগেই জেনে নিয়ে পরে সেগুলো ব্যবহার করা যাবে।
উপরের কোন পদ্ধতিতেই যদি সফল না হন তাহলে সর্বশেষ পদক্ষেপ হিসেবে এই লিংকে থাকা ফর্মটি পূরণ করে ফেসবুক টিমের সাথে যোগাযোগ করুন


ফেসবুকে ফ্রেন্ড রিকোয়েস্ট ব্লক ঠেকানোর উপায়


আপনি যদি নিয়মিত ফেসবুক ব্যবহার করে থাকেন, তাহলে সাইটটির ‘ফ্রেন্ড রিকোয়েস্ট ব্লক’ ব্যাপারটির সাথে নিশ্চয়ই পরিচিত হবেন। আমি বলছিনা যে আপনি নিজেই কখনও ফ্রেন্ড রিকোয়েস্ট ব্লকের শিকার হয়েছেন, তবে ফেসবুকে ‘এড মি’ পার্টিদের কমেন্ট থেকে অন্তত দেখে থাকবেন যে ‘আমাকে অ্যাড করুন, আমি ব্লকড আছি, ৫ সেকেন্ডের মধ্যে অ্যাকসেপ্ট করব’… ইত্যাদি ইত্যাদি
ফেসবুকের উদ্দেশ্য হচ্ছে আপনার পরিচিত লোকজন ও বন্ধুবান্ধবের সাথে আপনাকে সবসময় কাছাকাছি রাখা। এজন্য তাদেরকে ‘ফ্রেন্ড’ হিসেবে অ্যাড করতে হয়। কিন্তু কেউ যদি পাইকারি দরে চেনা-অচেনা সবাইকে ফ্রেন্ড রিকোয়েস্ট পাঠাতে থাকে, তাহলে এটি ফেসবুকের টার্মস এন্ড কন্ডিশনের ভায়োলেশন বলে গণ্য হবে এবং কোম্পানিটি বিভিন্ন মেয়াদে ফ্রেন্ড রিকোয়েস্ট পাঠানো থেকে উক্ত আইডিকে ব্যান করে দেবে।
তবে একটু কৌশল অবলম্বন করলেই ফেসবুকে ফ্রেন্ড রিকোয়েস্ট ব্লকড হওয়া এড়াতে পারেন। চলুন দেখি সেরকমই কিছু উপায়।
১. ফেসবুকে আইডি দেখলেই ‘পাইকারি দরে’ সেগুলো অ্যাড করা থেকে বিরত থাকুন। আপনার সাথে কোনও ‘মিউচুয়াল ফ্রেন্ড’ নেই এমন লোকজন বেশি বেশি অ্যাড করলে ব্যান হওয়ার সম্ভাবনা প্রবল। আর আপনার অ্যাড করা কেউ যদি আপনাকে চেনেনা বলে রিপোর্ট করেন তাহলেও আপনি ব্যানড হতে পারেন।
২. অচেনা লোকজনকে ফ্রেন্ড রিকোয়েস্ট পাঠাতে পারেন, কিন্তু একসাথে অনেকগুলো না পাঠিয়ে কমপক্ষে এক দিন সময় নিন যাতে পূর্বে সেন্ডকৃত রিকোয়েস্টগুলো অ্যাকসেপ্ট হতে পারে এবং পেডিং রিকোয়েস্টের সংখ্যা কম থাকে।
৩. যাদেরকে ফ্রেন্ড রিকোয়েস্ট পাঠিয়েছেন সেই তালিকায় নিয়মিত চোখ রাখুন। যেসব আইডি রিকোয়েস্ট অ্যাকসেপ্ট করতে বেশি সময় নিচ্ছে সেগুলোর রিকোয়েস্ট ক্যানসেল করে দিন। ফেসবুকে আপনার পাঠানো ফ্রেন্ড রিকোয়েস্টের তালিকা দেখতে চাইলে আমাদের এই পোস্টটিতে দেয়া নিয়ম অনুসরণ করুন।
৪. ফেসবুকে মেসেজ পাঠানোর ক্ষেত্রেও সাবধান হোন। আপনার ‘ফ্রেন্ড’ নয় এমন আইডিসমূহে খুব বেশি পরিমাণ মেসেজ পাঠালে সেগুলো স্প্যাম বলে গণ্য হবে যার ফলস্বরূপ ফ্রেন্ড অ্যাড করার প্রতি নিষেধাজ্ঞা দিতে পারে ফেসবুক।
৫. ব্যান থাকা অবস্থায় ফ্রেন্ড অ্যাড করার বৃথা চেষ্টা থেকে বিরত থাকুন। উদাহরণস্বরূপ, আপনাকে যদি এক সপ্তাহের জন্য ব্লক করা হয়, তাহলে ঐ ৭ দিন পরেই ফ্রেন্ড রিকোয়েস্ট পাঠানোর চেষ্টা করুন। কে জানে, হয়ত এর মধ্যে ফেসবুকের উপর দাদাগিরি করতে গেলে সাইটটির প্রোগ্রাম মাইন্ড করেও বসতে পারে! (অনেক সময় মোবাইলে বা কোনও কোনও অনলাইন সেবায় বারবার ভুল লগইনের চেষ্টা করলে ব্যান পিরিয়ড বর্ধিত হয়ে যায়)
৬. একবার ব্যানড হলে সকল পেন্ডিং ফ্রেন্ড রিকোয়েস্ট ক্যানসেল করাই বুদ্ধিমানের কাজ। অবশ্য, পেন্ডিং লিস্টে পরিচিত (যারা অ্যাকসেপ্ট করবে এমন বিশ্বস্ত) কেউ থাকলে তাদেরকে রেখে শুধুমাত্র বাকীগুলোও ক্যানসেল করে দিতে পারেন।
৭. অটোম্যাটিক ফ্রেন্ড রিকোয়েস্ট সেন্ডিং বা এই টাইপের স্ক্রিপ্ট ব্যবহার থেকে বিরত হোন।


লেখা বা ছবি কপি করা আইনত দন্ডনীয় অপরাধ


No comments

Theme images by enot-poloskun. Powered by Blogger.