Header Ads

InfoTech

ল্যাপটপ

 লেখক ও সম্পাদক : ইঞ্জিনিয়ার নাহিদ আলম - সাহন


ল্যাপটপের চার্জ সমস্যায় বহু মানুষই অসন্তুষ্ট। ল্যাপটপ কেনার পর প্রথম দিকে ভালো চার্জ থাকলেও পরে চার্জ তেমন থাকে না। এক্ষেত্রে কিছু বিষয় মেনে চললে আরো কিছুটা সময় বাড়তি ব্যাকআপ পাওয়া যেতে পারে।
১. এক্সটার্নাল ডিভাইস ও পোর্ট
ল্যাপটপের সাথে যুক্ত বাড়তি প্রতিটি অনুষঙ্গই চার্জ খরচ করে। এর মধ্যে আছে এক্সটার্নাল মাউস, কীবোর্ড কিংবা পোর্টেবল হার্ডডিস্কও। এছাড়া ওয়াইফাই কিংবা ব্লুটুথ উল্লেখযোগ্য পরিমাণে ল্যাপটপের চার্জ শেষ করে। গ্রাফিক্স প্রসেসিংয়ের জন্যও খরচ হয় অনেক ল্যাপটপের চার্জ। আর তাই প্রয়োজন না হলে এসকল ডিভাইস খুলে রাখা এবং ওয়াইফাই, ব্লুটুথ বন্ধ রাখা উচিত।
২. ব্যাটারি সেভার মোড
বর্তমানে প্রায় সব ব্র্যান্ডের ল্যাপটপেই আছে ব্যাটারি সেভিং মোড। কিছু কিছু ক্ষেত্রে এই ফিচারটি ‘ইকো মোড’ নামেও পরিচিত। এই ফিচারটি চালু থাকলে ল্যাপটপ নিজে থেকেই বেশ কিছু উপায় অবলম্বন করে যার মাধ্যমে চার্জ খরচ যথাসম্ভব কম হয়। এক্ষেত্রে ডিসপ্লে ব্রাইটনেস কম থাকে, অপ্রয়োজনীয় কম্পোনেন্টগুলো স্বয়ংক্রিয়ভাবে বন্ধ হয়ে যায় এবং ল্যাপটপের চালু থাকা প্রায় সব কম্পোনেন্টই খুব কম পরিমাণে চার্জ খরচ করে। ফলে ল্যাপটপের চার্জ সাশ্রয় হয়।
৩. অপ্রয়োজনীয় অ্যাপ বন্ধ
ল্যাপটপে এমন অনেক প্রসেস চলতে থাকে যেগুলোর কোন প্রয়োজন পড়ে না। বরং এর মাধ্যমে ল্যাপটপের চার্জ অনেকটাই ফুরিয়ে যায়। উইন্ডোজ অপারেটিং সিস্টেমের ক্ষেত্রে সিস্টেম ট্রে থেকে দেখে নিতে পারেন কোন অ্যাপটি আপনার আপাতত প্রয়োজন নেই। বাছাই করে এমন অ্যাপগুলো বন্ধ করে দিন। এছাড়া টাস্ক ম্যানেজারে গেলেও পাওয়া যাবে এমন অনেক অ্যাপস কিংবা সফটওয়্যার যেগুলো কোন কারণ ছাড়াই চলছে। বাছাই করে এ ধরণের সফটওয়্যারগুলো বন্ধ করে দিন।
৪. সেটিংস পরিবর্তন
বর্তমানে অনেক ল্যাপটপের কীবোর্ডেই ব্যাকলাইট থাকে। তবে প্রয়োজন না থাকলে এই ব্যাকলাইট বন্ধ করে রাখলে চার্জ সাশ্রয় হবে। এর পাশাপাশি ডিসপ্লে ব্রাইটনেসও কমিয়ে রাখা উচিত। সম্পূর্ণ ব্রাইটনেসে ডিসপ্লে চালু রাখলে একদিকে যেমন চোখের উপর বাড়তি চাপ পড়ে, তেমনি ল্যাপটপের চার্জ বা ব্যাটারিও দ্রুত শেষ হয়। এছাড়া ডিসপ্লের রেজ্যুলেশন কমিয়ে রাখলেও ল্যাপটপের চার্জ বা ব্যাটারির চার্জ সাশ্রয় হবে। ল্যাপটপের স্পিকার প্রয়োজন ছাড়া বন্ধ করে রাখুন।
৫. একবারে একটি প্রোগ্রাম আমরা অনেকেই ল্যাপটপে মাল্টিটাস্কিং করে থাকি। এর ফলে ল্যাপটপের প্রসেসরে বাড়তি চাপ পড়ে এবং এর জন্য অনেক ল্যাপটপের চার্জ প্রয়োজন হয়। আর তাই খুব বেশি দরকার না থাকলে একবারে একটির বেশি কাজ না করাই ভাল। এছাড়া অন্য কাজ করার সময় যদি গান শুনতে হয়, সেক্ষেত্রে অনলাইন স্ট্রিমিংয়ের পরিবর্তে কম্পিউটার থেকে শোনা ভাল। কারণ এক্ষেত্রে ইন্টারনেট ব্যবহার করার প্রয়োজন না হওয়ায় ল্যাপটপের চার্জ সাশ্রয় হচ্ছে।
৬. ব্যাটারির যত্ন
ল্যাপটপের ব্যাটারি রিমুভেবল হলে সেগুলো কিছুদিন পরপর খুলে পরিষ্কার করতে হবে। এছাড়া ল্যাপটপ সবসময় ঠাণ্ডা রাখার দিকে নজর দিতে হবে। কারণ অতিরিক্ত তাপের কারণে ব্যাটারি স্থায়িত্ব কমে যায়। তাই ল্যাপটপের ভেতরের গরম বাতাস যেন ঠিকঠাক বের হয়ে যেতে পারে, সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে। প্রয়োজনে ল্যাপটপ কুলার ব্যবহার করা যেতে পারে। এছাড়া বিছানা কিংবা বালিশের ওপর রেখে ব্যবহার করা উচিত নয়। এতে ল্যাপটপ বেশি গরম হয়ে যেতে পারে।


 মোবাইল
ভুল করে কোন জরুরি মেসেজ, ছবি, ভিডিও ডিলিট করে ফেলেছেন মোবাইল থেকে? এবার খুব সহজেই ডিলিট করা ফাইল ফিরিয়ে আনুন !
জেনে রাখুন কিভাবে করবেন-
যদি আপনার মোবাইলের সমস্ত মেসেজ ভুলবসত মুছে যায় যা ছিল আপনার জন্য একান্ত প্রয়োজনীয়। তাহলে আপনার দ্রুত পদক্ষেপ নেওয়া দরকার।
১। এন্ড্রয়েড ফোনটি KING ROOT দিয়ে রুট করে নিন । প্রথম বার root করতে ব্যর্থ হলে আবার চেষ্টা করুন হয়ে যাবে।
2। গুগল প্লে স্টোর থেকে GT Recovery সফটওয়্যারটি ডাউনলোড করে নিন
৩। সফটওয়্যারটি ROOT ACCESS চাইলে ACCEPT করুন।
৪। সফটওয়ারটি ওপেন করার পর READ SMS এ ক্লিক করুন।
৫। Start new scan এ ক্লিক করুন।
৬। আপনার সমস্ত হারানো মেসেজ খুজে পান।
৭। এই সফটওয়্যার দিয়ে আপনি Call log,photo,contact,whats app,messenger ও অন্যান্য ফাইল রিকভার করতে পারবেন।
ফিরিয়ে আনুন মোবাইলের মেমোরি কার্ড থেকে মুছে যাওয়া ছবি

অনেক সময় আপনার মোবাইল থেকে প্রয়োজনীয় কোন ছবি ডিলিট হয়ে যেতে পারে অথবা কেউ ডিলিট করে দিতে পারে। আর যদি সেই ছবিটা হয় আপনার জন্য অনেক গুরুত্বপূর্ণ তাহলে অনেক বিপদে পরতে হয়।
তবে চিন্তিন না থেকে কিছু কার্যকরি পদক্ষেপ গ্রহণ করলেই এই মোবাইল থেকে হারান কিংবা ডিলিট হওয়া ছবি গুলো আপনি ফিরে পেতে পারেন। আর শুধুমাত্র আপনাদের জন্য একটি সহজ এবং কার্যকর পদ্ধতি তুলে ধরা হবে যার মাধ্যমে আপনার মুছে যাওয়া ছবিটি পুনরায় ফিরে পেতে সমর্থ হবেন।
প্রয়োজনীয় সফটওয়্যারঃ প্রথমেই নিচের দেওয়া লিংকটি থেকে সফটওয়্যারটি ডাউনলোড করে নিন।
সফটওয়্যারটি ডাউনলোড করতে এখানে ক্লিক করুন...
এবার নিচের ধাপগুলো অনুসরন করুন-
ধাপ-১: আপনি যদি দেখেন আপনার প্রয়োজনীয় কোন ছবি মুছে গেছে, তাহলে সেই মেমোরি কার্ড থেকে অন্য কিছু মুছে ফেলবেন না কিংবা নতুন করে কোন ফাইল রাখবেন না।
ধাপ-২: উপরের লিঙ্ক থেকে ডাউনলোড করা সফটওয়্যারটি আপনার কম্পিউটারে ইন্সটল করুন।
ধাপ-৩: ইন্সটল করা হয়ে গেলে সফটওয়্যারটি চালু করুন। আপনাকে একটি তালিকা দেখানো হবে। সেখান থেকে Pictures সিলেক্ট করুন। এরপর Next বাটনে ক্লিক করুন।
ধাপ-৪: এই ধাপে আপনার মুছে যাওয়া ছবি যে ফোল্ডারে ছিল, সেটি নির্বাচিত করুন।
ধাপ-৫: এরপর Next ক্লিক করলেই আপনার মেমোরি কার্ডের নির্দিষ্ট করা ফোল্ডার স্ক্যান করতে শুরু করবে সফটওয়্যারটি। সাধারণত এখানে JPEG ফরমেটে থাকা ছবিগুলোই কেবল দেখানো হবে। তবে আপনি অন্যান্য ছবির ফরমেট সিলেক্ট করতে চাইলে 'Switch to advanced mode' বাটনে ক্লিক করুন। সেখান থেকে প্রয়োজনীয় ফরমেটগুলো সিলেক্ট করুন।
ধাপ-৬: আপনার প্রয়োজনীয় ফাইলগুলো সিলেক্ট করে 'Recover' বাটনে ক্লিক করুন এবং আপনার সুবিধামত স্থানে ছবিটি সেভ করে নিন।


কম্পিউটারের সবচেয়ে ভয়ঙ্কর ১০ ভাইরাস

মাঝে মধ্যে অচেনা লিঙ্কে ক্লিক করার ফল কতটা মারাত্মক হতে পারে সেটা যিনি ভুগেছেন তিনিই একমাত্র জানবেন। এমন ভাইরাস রয়েছে যা একবার কম্পিউটারের সিস্টেমে ঢুকে গেলে তা ঠিক করার চেয়ে নতুন কম্পিউটার কেনাটাই বোধহয় বেশি সহজ।
ভয়ঙ্কর ভাইরাস মেলওয়্যার ও ট্রোজানের চেয়ে শতগুন বেশী ভয়ঙ্কর এরা। বাড়ির ছাপোষা কম্পিউটার থেকে হোয়াইট হাউজের সুপার কম্পিউটার— কেউই এই সব ভাইরাসের হাত থেকে রেহাই পায়নি। এক নজরে দেখে নিন সেই সব ভাইরাসের তালিকা।
IloveYou:
কী সুন্দর নাম! অথচ এর প্রভাব কতটা ভয়ানক তা টের পাওয়া গিয়েছিল ২০০০ সালে। প্রথম দেখা গিয়েছিল ফিলিপিন্সে। নিমেষের মধ্যে বিশ্বের মোট কম্পিউটারের ১০ শতাংশ একেবারে ধ্বংস করে দিয়েছিল। মোট ক্ষতির পরিমাণ ছিল ৫০০ কোটি মার্কিন ডলারেরও বেশি।
My Doom:
ইতিহাসে এর থেকে ভয়ঙ্কর ভাইরাস নাকি জন্মায়নি! প্রথমবার দেখা গিয়েছিল ২০০৪ সালে ২৬ জানুয়ারি। ইমেইল মারফত সারা বিশ্বে ছড়িয়ে যায়। এর অন্য একটি নামও রয়েছে, Novarg. প্রায় ২০ লক্ষ কম্পিউটার এর ফলে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিল। বিশ্ব জুড়ে ইন্টারনেট পরিষেবা বিপর্যস্ত হয়ে গিয়েছিল। এর ফলে ক্ষতির পরিমাণ প্রায় ৩ হাজার ৮০০ কোটি মার্কিন ডলার।
Sobig F:
এই ভাইরাস আপনার কম্পিউটারের নিপাট ভদ্রলোক সেজে এসে দাঁড়াবে এবং আপনার কাছেই ঢোকার অনুমতি চাইবে। অর্থাত্‍‌ স্প্যাম মেইল হিসেবে ঢুকেও আপনাকে এটা বোঝাবে যে সে একটি সঠিক অ্যাড্রেস থেকে এসেছে। এ ভাবেই ২০০৩-এ ২০ লক্ষ সিস্টেমের বারোটা বাজিয়েছিল। কম্পিউটারে ঢোকার ২৪ ঘণ্টার মধ্যে নিজের ১০ লক্ষ কপি তৈরি করে ফেলে এই ভাইরাস। ৩০০ থেকে ৪০০ কোটি টাকার ক্ষতি করেছিল এই ভাইরাস।
Code Red:
ইনি হোয়াইট হাউসের কম্পিউটারকেও নাচিয়ে ছেড়েছেন। ২০০১-এর ১৩ জুলাই এটি প্রথম দেখা যায়। মাইক্রোসফট ইন্টারনেট ইনফরমেশন সার্ভারের একটি খুঁতকে কাজে লাগিয়ে ৪ লক্ষ সার্ভারকে ক্ষতিগ্রস্ত করে এটি। বিশ্ব জুড়ে ক্ষতির পরিমাণ ছিল ২৫০ কোটি মার্কিন ডলার।
SQL Slammer:
২০০৩-এ প্রথম দেখা যায়। মাত্র ১০ মিনিটের মধ্যে ৭৫ হাজার সার্ভার ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিল। ব্যাঙ্ক অফ আমেরিকা থেকে 911 সার্ভিস সবই প্রভাবিত হয়েছিল এর জন্য। মোট ক্ষতির পরিমাণ ছিল ১২০ কোটি মার্কিন ডলার।
Melissa:
অন্যতম সাঙ্ঘাতিক তাতে কোনও সন্দেহ নেই। ১৯৯৯ সালে ২৬ মার্চ প্রথম লক্ষ্য করা যায়। প্রথম মাস-মেইলার মাইক্রোভাইরাস। খুব কম সময়ের মধ্যে ৬০ কোটি মার্কিন ডলার ক্ষতি করেছিল এটি। FBI এর সৃষ্টিকর্তা ডেভিড স্মিথ-কে ধরার জন্য আকাশ-পাতাল এক করে ফেলেছিল।
Chernobyl:
এটি প্রথম দেখা যায় তাইওয়ানে। এটি কম্পিউটারে ঢুকে Flash BIOS Chip টি এফেক্ট করে এবং সেটি কাজ করা বন্ধ করে দেয়। এর জন্য বিশ্ব জুড়ে প্রায় ২৫ কোটি মার্কিন ডলারের ক্ষতি হয়।
Storm Worm:
২০০৭-এ বিশ্বের প্রচুর কম্পিউটার ব্যবহারকারী একটি মেইল পেয়েছিলেন। ওতে লেখা ছিল ইউরোপে ঝড়ের কারণে ২৩০ জন মারা গিয়েছেন। যারা এই মেইলটি ক্লিক করে খুলেছিলেন, তাদের কম্পিউটার আর ঠিক করা যায়নি। এক কোটি কম্পিউটার ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিল বিশ্ব জুড়ে। ক্ষতির হিসাব করা যায়নি।
Conflicker:
২০০৯-এ আবিষ্কার হয় এটি। দেড় কোটি উইন্ডোজ সিস্টেমের বারোটা বাজিয়েছিল এটি। শুধুমাত্র কম্পিউটারই নয়, পেন ড্রাইভ, স্মার্টফোন, এক্সটার্নাল হার্ডডিস্ক সব কিছুর মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়তে পারে এটি। ফায়ারওয়াল প্রোটেকশন ভলো না হলে কম্পিউটারের যাবতীয় গুরুত্বপূর্ণ তথ্য নিমেষে কপি করে ফেলতে ওস্তাদ।
Nimda:
অ্যাডমিট কথাটি উল্টো করে লিখলে এই ভাইরাসটি দেখতে পাবেন। ৯/১১-এর এক সপ্তাহ পরে এই ভাইরাসটি বিশ্ব জুড়ে মাত্র ২২ মিনিটের মধ্যে ছড়িয়ে পড়ে। কম্পিউটারের যাবতীয় তথ্য, ফাইল ট্রান্সফার এবং শেয়ার্ড ফোল্ডারের ইতিহাস নিমেষে চুরি করে ফেলতে পারে এটি। অনেকে বিশ্বাস করেন, এটি সাইবার টেরর অ্যাটাকেরই একটা অঙ্গ হিসাবে কাজ করেছিল।
পাঠক মতামত দিন

লেখা বা ছবি কপি করা আইনত দন্ডনীয় অপরাধ

No comments

Theme images by enot-poloskun. Powered by Blogger.