Freelancing
ফ্রিল্যান্স মার্কেটে সফলতার ৭টি দূর্দান্ত টিপস্ এন্ড ট্রিকস্
লেখক ও সম্পাদক : ইঞ্জিনিয়ার নাহিদ আলম - সাহন
দুর্ভাগ্যবশত, পরিস্থিতির বাস্তবতা হতে
পারে ব্যাতিক্রম, হয়ত কঠোর পরিশ্রমের বিনিময়ে আপনি এক সেন্ট ও আয় করতে
পারবেন না। এটা হতে পারে সময়ের অভাবনীয় অপচয়। আজ আমি আপনাদের সাথে এমন কিছু
টিপস্ আর ট্রিকস্ নিয়ে আলোচনা করব যা আপনাকে ফ্রিল্যান্স মার্কেটে
সাফল্যের দারপ্রান্তে নিয়ে যাবে।
ফ্রিল্যান্স মার্কেটে সফলতার জন্য দরকার সূক্ষ ক্রিয়েটিভ টেলেন্ট
আমি মনে করি এটি একটি বিরাট ভুল যখন মানুষ
স্টক মার্কেটে তাদের আইটেম বিক্রয় শুরু করে আর সফলতার জন্য ক্রিয়েটিভ
ট্যালেন্ট এর চাইতে বেশি নির্ভর করে ভাগ্যের উপর। এই ধারনাটি অনেকটাই এমন
“ফ্রিল্যান্স মার্কেটে অনেক অনাকাঙ্খিত মার্কেটারে পরিপূর্ণ, একমাত্র আমিই
সবচেয়ে ভাল করতে জানি।
আমি মনে করি এখনই প্রকৃত সময় সত্যকে
উপলব্ধি করার, এবং আমি প্রতিশ্রুতি দিতে পারি, আপনি সত্যিই এমন দিকে
যাচ্ছেন না যদি আমার সাথে একমত হোন। আপনার ক্রিয়েটিভ ট্যালেন্ট অবশ্যই
আপনাকে ভাল একটি ফ্রিল্যান্স মার্কেট সাইটে নিয়ে যাবে।
আমি জানি আপনি অনেক ভাল কাজ করেন, কিন্তু কে ভাবে?
উদারহণস্বরুপ, আপনি অনেক সুন্দর একটি
ফটোগ্রাফি করলে ফুলের, যা কিনা পৃথিবীর কেউ কখনো আগে দেখেনি! আর এই ছবি এতই
সুন্দর যে আপনার দাদিমা দেখে আনন্দে কেঁদে ফেলেন, কিন্তু একজন বিশ্ব
বিখ্যাত প্রিমিয়ার ফটোগ্রাফার এর ক্ষেত্রে তা ব্যাতিক্রম, হয়ত তিনি এই
ছবিটিই অনেক বেশি পরিমান বিক্রয় করতে পারবেন। কিন্তু আপনি যদি এই ছবিটিই আই
স্টকে আপলোড করেন রিভিউর জন্য. . . .তা রিজেক্টেড।
কিন্তু কেন? আপনার ছবিটি অবশ্যই ভাল! হয়ত
এমন কোন ক্রেতাই নেই যে এত ভাল ছবি ক্রয় করেছেন। তাহলে আপনার ছবিটি কেন
রিজেক্টেড হবে? এখন দেখা যাচ্ছে যে, তাহলে আপনার আর কাজ করার কোন প্রয়োজন
নেই? একবার ভাবুন, আই স্টক অনেক অনেক ওভারলোড হয়ে আছে ফুল এর ফটোগ্রাফিতে,
যার কারনে তাদের আপনার ছবির প্রয়োজন নেই।
কে ভাবে আপনার ছবি অনেক ভাল? এ বিষয়ে তাদের অনেক কনটেন্ট রয়েছে। আর আপনার
কিছুই করার নেই তাদের চলমান এই প্রকৃয়াতে কোন পরিবর্তন আনার।
অস্থির হবেন না, ধৈয্য সহ চেষ্টা চালিয়ে যান
এটা অনেক বিব্রতকর, আমি জানি। আমরা সবাই
বিশ্বাস করতে পছন্দ করি যে সবচেয়ে ক্রিয়েটিভ ব্যাক্তিরাই সবচাইতে বেশি
স্টক, আর্ট বিক্রয় করতে সক্ষম। আমি এটা অনেক ভালভাবে জানি যে বেশিরভাগ
মানুষেরই এটি সর্বোত্তম ব্যবসায়িক পলিসি মনে করে।
রিভিউ এবং সাবমিশন প্রসেস সম্পর্কে ভালভাবে অবগত হোন
আপনি যদি ইতিপূর্বে স্টক আইটেম বিক্রয় করে
না থাকেন, তাহলে আপনার জন্য কঠিন বাস্তব অপেক্ষা করছে। স্টক আপলোড করার পর
আপনি স্বপ্নের যে বীজ বপন করেছেন তা হয়ত অচিরেই জীর্ণ হয়ে যেতে পারে, কারন
ক্রেতা সাইটের পর সাইট যাচাই করে থাকেন স্টক কেনার পূর্বে। কিন্তু এই
সমস্যা সবসময়ের জন্য নয়। সাধারণত শুরু করার আগে আপনি হয়ত দেরশতাধিক অথর
গাইড পাবেন, তা পরে ফেলতে পারেন যদি সম্ভব হয়। আপনি এনভেটোর অথর গাইড পাবেন
এখানে ।
আপনি যদি একবার অথর গাইড পরে থাকেন,
পরবর্তী ধাপে আপনাকে একটি কুইজের মুখোমুখি হতে হবে যেন আপনাকে যাচাই করা
যায় আপনি সত্যিকার অর্থেই কতটুকু গাইড ফলো করছেন। আই স্টক এবং এনভেটো উভয়ের
ইউনিক কুইজ রয়েছে এজন্য যে যেন আপনি তাদের পলিসি সহজ ভাবে বুঝতে এবং কাজে
লাগাতে পারেন।
প্রত্যাখ্যানের স্বদ ব্যবহার করুন
একটি বড় স্টক সাইট থেকে যেমন অধিক লাভবান
হওয়ার সম্ভাবনা থাকে, তেমনি সেখানে করে সাফল্য অর্জন করতেও সময় লেগে যায়
অনেক। একটি সহজ হিসাব হল, একটি অধিক জনপ্রিয় সাইটের সাবমিশন প্রসেস হবে
অনেক দীর্ঘ।
এই ব্যাপারটি বুঝুন, আপনার সাবমিশন
রিজেক্টেড। এটি সবার ক্ষেত্রেই হয়ে থাকে। এ থেকে তিনটি সম্ভাব্য রিএ্যাকশন
হতে পারে। আপনি হয়ত সুন্দর সুন্দর ইমেইল এবং অফার দিয়ে আপনার সময় নষ্ট করতে
পারেন। কিন্তু বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই আপনার এই প্রচেষ্টা ব্যার্থ হতে পারে।
আরেকটি সম্ভাব্য রিএ্যাকশন হতে পারে আপনি আপনি হতাশ হয়ে কাজ করা বন্ধ করে
দিতে পারেন।
এখন আপনার করনীয় কি? যে কারনে আপনার
সাবমিশন রিজেক্টেড হল, পরের সাবমিশন এ বিষয় গুলো লক্ষ করুন, হয়ত এই
রিজেকশনগুলোই আপনার সাফল্যের কারণ হতে পারে।
যে কোন একটি বিষয়কে ফোকাস করুন
একটি অনেক মূল্যবান উপদেশ হল এই যে, আমি
আপনাকে বলব স্টক মার্কেটে দ্রুত সাফল্য লাভের জন্য একটি নির্দিষ্ট বিষয়
নিয়ে কাজ করে এটিকে ফোকাস করতে। এই সাইটগুলি অত্যন্ত প্রতিযোগিতামূলক
এবং সত্যিই ঘুরে দাড়ানো অনেক কঠিন যেন জনপ্রিয় কোন অথর কে সিংহাসনচ্যুত
করা।
এমন বিষয় গুলো ভাবুন, যেগুলো করতে আপনি
সক্ষম। বিষয়টি নির্বাচন করার পর এ বিষয়ে কাজে নেমে যান পুরোদমে। একটি বা
দুটি আইটেম আপলোড করবেন না, দশ, বিশ, পঞ্চাশ বা একাধিক আইটেম আপলোড করুন।
নিশ্চিত করুন যখন যে কেউ একটি শব্দ অনুসন্ধান করবে, আর সেই বিষয়ে আপনার
আইটেম আছে, তার সব রেজাল্টের প্রথম দশ পৃষ্ঠাগুলিতে যেন শুধু আপনার আইটেম
থাকে। ভাবতে খুব ভাল লাগছে তাইনা?
উদাহরণস্বরূপ, ধরুন আপনি যে ফ্রিল্যান্স
মার্কেটে কাজ করছেন, সেখানে রিয়েল স্টেট সাইটের একটি বা দুইটি টেমপ্লেট
দেয়া আছে। তা নিতান্তই একটি মার্কেট প্লেস হিসেবে অনেক কম। এখন আপনার কাজ
হবে যত বেশি সম্ভব রিয়েল স্টেট সাইট এর টেমপ্লেট তৈরী করা।
যে ১০টি কারনে অবশ্যই ফটোশপ শিখতে হবে
ফটোশপ
সফটওয়্যারটির নির্মাতা থমাস নোল। থমাস নোল জানিয়েছেন, ফটোশপ শব্দটি
ইংরেজি ভাষায় স্থান করে নিয়েছে, এতে আমি গর্বিত। আপনারা যখন টিভি দেখেন
বা ছবি উপভোগ করেন, তখন ফটোশপ শব্দটিকে ভার্ব (ক্রিয়া) হিসেবে ব্যবহার
করেন। অ্যাডোবি হয়তো ট্রেডমার্কের কারণে ফটোশপকে ক্রিয়াবাচক শব্দ হিসেবে
শুনতে পছন্দ করে না, কিন্তু আমি যখনই এটা শুনি, আমার রোমাঞ্চ বোধ হয়।
নোল আরও বলেন, আলোকচিত্রের অনেক দিক আছে, যেখানে একই বিষয় অনেক সৃজনশীল ও কার্যকর উপায়ে তুলে আনা যায় এবং সৌন্দর্য বাড়ানো যায়। আবার খুব ভালোভাবে ব্যবহারও করা যায়। এটা নির্ভর করে ব্যক্তির নিজস্ব নৈতিকতার ওপর এবং তাকে নৈতিক ইচ্ছার প্রতিফলন দেখাতে হবে।
নোল আরও বলেন, আলোকচিত্রের অনেক দিক আছে, যেখানে একই বিষয় অনেক সৃজনশীল ও কার্যকর উপায়ে তুলে আনা যায় এবং সৌন্দর্য বাড়ানো যায়। আবার খুব ভালোভাবে ব্যবহারও করা যায়। এটা নির্ভর করে ব্যক্তির নিজস্ব নৈতিকতার ওপর এবং তাকে নৈতিক ইচ্ছার প্রতিফলন দেখাতে হবে।
ফটোশপের ইতিহাস
ফটোশপ তৈরির প্রথম পর্যায়টি ছিল কৌতূহল জাগানিয়া। মার্কিন প্রকৌশলী থমাস নোল ব্যক্তিগত একটি প্রকল্প হিসেবে ফটোশপ তৈরির কাজ শুরু করেছিলেন। সেটা ১৯৮৮ সাল। ফটোশপ
তৈরির শুরুতেই থমাস নোল তার ভাই জন নোলকে এই প্রকল্পের সঙ্গে যুক্ত করেন। এ
সময় এই প্রকল্পের নাম ছিল ডিসপ্লে। এরপর একে একে এই প্রকল্পটিতে অনেক
ফিচার যুক্ত হতে থাকে। ১৯৮৯ সালে অ্যাডোবির কাছে এই সফটওয়্যারটি বিক্রি
করে দেন তাঁরা। ১৯৯০ সালের ১৯ ফেব্রুয়ারি ফটোশপ নাম দিয়ে ছবি সম্পাদনা
করার সফটওয়্যারটি উন্মুক্ত করে অ্যাডোবি। ওই সময় অবশ্য ছবি ডিজিটাইজ করা
খুব সহজ ছিল না। ছবি ডিজিটাইজ করা গেলেও তা বের করা ছিল আরও কঠিন কাজ। নোল
বলেন, প্রথম প্রিন্ট করতে দুই হাজার ডলার খরচ হয়েছিল তাঁর। প্রথমদিকে এই
সফটওয়্যারটির ক্রেতা আলোকচিত্রীদের পরিবর্তে গ্রাফিকস শিল্পী ও
সংবাদপত্রের সঙ্গে জড়িত পেশাদার ব্যক্তিরা ছিলেন।
ফটোশপে সম্পাদনা করা প্রথম ছবির গল্প
ছবি এমন আহামরি কিছু নয়। এটি যে পৃথিবী
কাঁপানো কোনো ছবি হতে পারে, তা ছবি দেখে বোঝার কোনো উপায় নেই। কিন্তু এই
ছবিই তৈরি করেছে ইতিহাস। ১৯৮৭ সালে বোরা বোরা দ্বীপে বান্ধবী জেনিফারের
(বর্তমান স্ত্রী) একটি টপলেস ছবি তুলেছিলেন প্রকৌশলী জন নোল। তাঁরা দুজন সে
সময় কাজ করতেন লুকাস ফিল্মের স্পেশাল ইফেকটস কোম্পানি ইন্ডাস্ট্রিয়াল
লাইট অ্যান্ড ম্যাজিক প্রকল্পে। ওই ছবি তোলার সময় দুজন ছুটি কাটাতে
গিয়েছিলেন।
ওই ছবি তোলার ঘটনা স্মরণ করে জেনিফার বলেন, ‘সত্যিই আমাদের জন্য জাদুকরি সময় ছিল তখন। ওই দিন ছবি তোলার পরে কোনো একসময় আমার স্বামী আমাকে বিয়ের প্রস্তাবও দিয়েছিল। সম্ভবত ওই ছবি তোলার পরপরই। আর আশ্চর্যের বিষয় নোল ওই ছবির নাম দিল জেনিফার ইন প্যারাডাইস।’
কিন্তু ছবি তোলার পর সমস্যায় পড়ে গেলেন নোল। ছবিটি ডিজিটাইজ করতে গিয়ে তিনি মুখোমুখি হলেন কারিগরি সমস্যায়। ওই সময়ের সর্বাধুনিক প্রযুক্তির হার্ডওয়্যার পিক্সার ইমেজ কম্পিউটারে ছবিটি সম্পাদনা করতে গিয়ে তিনি বের করলেন ইমেজ প্রসেসিং সফটওয়্যারটির জটিলতার বিষয়টি। তিনি সেই সময় সাক্ষাৎ করলেন তাঁর বড় ভাই থমাস নোলের সঙ্গে। থমাস ওই সময় (১৯৮৭) মিশিগান বিশ্ববিদ্যালয়ে কম্পিউটার ভিশন নিয়ে ডক্টরেট করছিলেন এবং অ্যাপলের সাশ্রয়ী ম্যাকিনটোশ কম্পিউটারে ব্যবহার উপযোগী ইমেজ প্রসেসিং সফটওয়্যার তৈরিতে কাজ করছিলেন। থমাসের ওই সফটওয়্যারে তখন ছবি সম্পাদনা করার নানা ফিচার যুক্ত করতে উৎসাহ দিলেন তিনি।
নোল বলেন, ‘প্রথমদিকে শখের বসে শুরু হলেও আমি পরে আরও নতুন নতুন ফিচার যুক্ত করার পরামর্শ দিতে থাকি। একসময় মনে হতে থাকে, এই সফটওয়্যারটি আমরা বিক্রি করতে পারব। কিন্তু সমস্যা হলো ওই সময় ডিজিটাল ছবি ছিল অপ্রতুল। তাই আমাদের সফটওয়্যারের কারিকুরি বোঝানো অসম্ভব ছিল। তখন অ্যাপলের অ্যাডভান্সড টেকনোলজি গ্রুপ ল্যাবে কাজ করতেন আমার এক বন্ধু। তখন ফ্ল্যাটবেড স্ক্যানার ছিল দুর্লভ জিনিস। অ্যাপলের ওই গবেষণাগারে ছিল একটি স্ক্যানার। সেটিই ব্যবহার করলেন তিনি। তখন তাঁর হাতে ছিল তাঁর স্ত্রী ৬ ইঞ্চি বাই ৪ ইঞ্চি মাপের প্রিন্ট করা একটি ছবি আর এভাবেই ফটোশপের কল্যাণে জেনিফার ইন দ্য প্যারাডাইজ হয়ে উঠল প্রথম রঙিন ছবি।’
নোল বলেন, ‘জেনিফারের ছবিটিকে ডেমো হিসেবে ব্যবহার করার জন্য উপযুক্ত ছিল। এটা দেখে খুব ভালো লাগল যে এই সফটওয়্যরাটি দিয়ে ছবি নিয়ে নানা কাজ করা যায়। এ ছাড়া ফটোশপ নিয়ে নিখুঁত ছবি পাওয়ার বিষয়টিও মাথায় গেথে গেল। এরপর নোল যখন কোনো প্রতিষ্ঠান পরিদর্শনে যেতেন, তখন এই সফটওয়্যারটির একটি প্যাকেজ জেনিফারের ছবিসহ রেখে আসতে হতো। ফিরে এসেই নোল দেখতে পেতেন যে প্রোগ্রামাররা তাঁর স্ত্রীর আরেকটি ক্লোন তৈরি করে ফেলেছে!
ওই ছবি তোলার ঘটনা স্মরণ করে জেনিফার বলেন, ‘সত্যিই আমাদের জন্য জাদুকরি সময় ছিল তখন। ওই দিন ছবি তোলার পরে কোনো একসময় আমার স্বামী আমাকে বিয়ের প্রস্তাবও দিয়েছিল। সম্ভবত ওই ছবি তোলার পরপরই। আর আশ্চর্যের বিষয় নোল ওই ছবির নাম দিল জেনিফার ইন প্যারাডাইস।’
কিন্তু ছবি তোলার পর সমস্যায় পড়ে গেলেন নোল। ছবিটি ডিজিটাইজ করতে গিয়ে তিনি মুখোমুখি হলেন কারিগরি সমস্যায়। ওই সময়ের সর্বাধুনিক প্রযুক্তির হার্ডওয়্যার পিক্সার ইমেজ কম্পিউটারে ছবিটি সম্পাদনা করতে গিয়ে তিনি বের করলেন ইমেজ প্রসেসিং সফটওয়্যারটির জটিলতার বিষয়টি। তিনি সেই সময় সাক্ষাৎ করলেন তাঁর বড় ভাই থমাস নোলের সঙ্গে। থমাস ওই সময় (১৯৮৭) মিশিগান বিশ্ববিদ্যালয়ে কম্পিউটার ভিশন নিয়ে ডক্টরেট করছিলেন এবং অ্যাপলের সাশ্রয়ী ম্যাকিনটোশ কম্পিউটারে ব্যবহার উপযোগী ইমেজ প্রসেসিং সফটওয়্যার তৈরিতে কাজ করছিলেন। থমাসের ওই সফটওয়্যারে তখন ছবি সম্পাদনা করার নানা ফিচার যুক্ত করতে উৎসাহ দিলেন তিনি।
নোল বলেন, ‘প্রথমদিকে শখের বসে শুরু হলেও আমি পরে আরও নতুন নতুন ফিচার যুক্ত করার পরামর্শ দিতে থাকি। একসময় মনে হতে থাকে, এই সফটওয়্যারটি আমরা বিক্রি করতে পারব। কিন্তু সমস্যা হলো ওই সময় ডিজিটাল ছবি ছিল অপ্রতুল। তাই আমাদের সফটওয়্যারের কারিকুরি বোঝানো অসম্ভব ছিল। তখন অ্যাপলের অ্যাডভান্সড টেকনোলজি গ্রুপ ল্যাবে কাজ করতেন আমার এক বন্ধু। তখন ফ্ল্যাটবেড স্ক্যানার ছিল দুর্লভ জিনিস। অ্যাপলের ওই গবেষণাগারে ছিল একটি স্ক্যানার। সেটিই ব্যবহার করলেন তিনি। তখন তাঁর হাতে ছিল তাঁর স্ত্রী ৬ ইঞ্চি বাই ৪ ইঞ্চি মাপের প্রিন্ট করা একটি ছবি আর এভাবেই ফটোশপের কল্যাণে জেনিফার ইন দ্য প্যারাডাইজ হয়ে উঠল প্রথম রঙিন ছবি।’
নোল বলেন, ‘জেনিফারের ছবিটিকে ডেমো হিসেবে ব্যবহার করার জন্য উপযুক্ত ছিল। এটা দেখে খুব ভালো লাগল যে এই সফটওয়্যরাটি দিয়ে ছবি নিয়ে নানা কাজ করা যায়। এ ছাড়া ফটোশপ নিয়ে নিখুঁত ছবি পাওয়ার বিষয়টিও মাথায় গেথে গেল। এরপর নোল যখন কোনো প্রতিষ্ঠান পরিদর্শনে যেতেন, তখন এই সফটওয়্যারটির একটি প্যাকেজ জেনিফারের ছবিসহ রেখে আসতে হতো। ফিরে এসেই নোল দেখতে পেতেন যে প্রোগ্রামাররা তাঁর স্ত্রীর আরেকটি ক্লোন তৈরি করে ফেলেছে!
যাইহোক, অ্যাডোবি ফটোশপে জ্ঞান ও দক্ষতা একজন অনেকের জন্যেই অর্থ উপার্জন এবং গৌরবের কারন। অ্যাডোবি ফটোশপ শিখার অনেক করান রয়েছে তার মধ্যে ১০ টি কারণ তালিকাভুক্ত করেছি। আসুন দেখে নেই।
আপনি নিজের সৃজনশীলতা প্রকাশ করতে পারেন
ডিজাইন জগত মানেই সৃজনশীলতা। আর এই
সৃজনশীল জগতে আপনি যত সৃজনশীল কাজ দেখবেন আপনার সৃজনশীল চিন্তা ভাবনা তত
বারবে। অন্যের সৃজনশীল কাজ গুলো আপনার অনুপ্রেরণা যোগাবে। এগুলো দেখে আপনি
নিজেই অনুপ্রানিত হবেন সৃজনশীল সব ডিজাইন করতে।
গ্রাফিক্স ডিজাইন জগতে রয়েছে বহু সৃজনশীল
ডিজাইনার। যাদের ডিজাইন দেখে আপনি, আমি, আমরা থমকে যাবো। এদের ডিজাইন গুলো
আপনার মাঝে বিশাল অনুপ্রেরণা যোগাবে, যা আপনাকে সৃজনশীল ডিজাইন করতে
হাতিয়ার এর মত সাহায্য করবে। ফটোশপে দক্ষতা আপনার সৃজনশীলতাকে দিবে ভিন্ন মাত্রা।
আপনি বিভিন্ন গ্রাফিক ডিজাইন প্রযেক্ট তৈরি করতে পারেন
ফটো এডিটিং থেকে শুরু করে, আপনি নিমন্ত্রণ
কার্ড, বিজনেস কার্ড, পোস্টার, এবং আরো অন্যান্য গ্রাফিক্স ডিজাইন
প্রযেক্ট তৈরী করতে পারেন ফটোশপে। ফটোশপে
বিভিন্ন ক্রিয়েটিভ টুলস্ ব্যবহার করে নিশ্চিতভাবে আপনি অসাধারণ জিজাইন
করতে পারেন যা শুধু আপনার ক্লায়েন্টকেই ইমপ্রেস করবে না এতে আপনি আপনার
ক্রিয়েটিভিটির স্বাধীন প্রয়োগ ও করতে পারবেন।
আপনি পুরাতন ফটো পুনরুদ্ধার করতে পারেন
পারিবারিক পুরাতন ছবি জীর্ণ এবং একসময়ে তা বিলুপ্ত হয়ে যেত ফটোশপ আসার আগে। কিন্তু এখন আপনি চাইলে সেই পুরাতন ছবি গুলোকে আবারো পুনরুদ্ধার করতে পারেন এবং আপনার পুরনো স্মৃতি ফিরে পেতে পারেন। ফটোশপের
হিলিং ব্রাশ, ক্লোন ষ্ট্যাম্প, প্যাচ টুল এবং অন্যান্য টুলস্ ব্যবহার করে
আপনি আপনার পুরাতন ছবিকে আবার নতুন বানাতে পারেন। আপনি নিশ্চিত থাকতে
পারেন যে আপনার অনেক ক্লায়েন্ট কে খুশি করতে পারবেন যদি আপনি এ কাজটি করতে
জানেন।
আপনি সু-কৌশলে টেক্সট সঙ্গে গ্রাফিক্স একত্রিত করতে পারেন
একটি ভাল মানের গ্রাফিক্স এর কাজের আউটপুটের জন্য ইমেজ এবং লেখা একসঙ্গে সামাঞ্জস্যপূর্ণ এবং মানানসই সম্পাদনা প্রয়োজন। ফটোশপে
আপনি শুধু ছবি এবং লেখা একত্রিত করাই নয় বরং কাজটি শিল্পসম্মত এবং
আকর্শনীয় করতে পারেন। স্ট্রোক, ড্রপ শ্যাডো, বেভেল এবং এমবুশ এবং অন্যান্য
ইফেক্ট ব্যবহার করে লেখাকে ফোকাস করতে পারেন পেশাদারিত্বের সাথে। ইমেজের
ক্ষেত্রেও যদি আপনি ব্রাইট, কন্ট্রাস্ট, এক্সপোজার এবং অন্যান্য
এডজাস্টমেন্ট গুলো এডজাস্ট করে প্রফেশনাল লুক দিতে পারেন।
ব্রাশ ব্যবহার করে আর্টওয়ার্ক তৈরী করতে পারেন
ফটোশপের
অনেক অনেক ব্রাশ রয়েছে যা আপনি ফ্রিতে পাবেন ওয়েবে। সেখান থেকে আপনার
পছন্দের ব্রাশ বেছে নিতে পারেন। এসব ব্রাশগুলো আপনার ছবি এবং লে আউটকে দিবে
স্পেশাল ইফেক্ট। ব্রাশ ব্যবহার করার ফলে আপনার কাজের আউটপুট হয়ে উঠবে আরো
প্রফেশনাল।
একটি ছবির রং পরিবর্তন করতে পারেন
ফটোশপের একটি আশ্চার্যজনক ব্যাপার হল ছবির রং পরিবর্তন করা। আপনি ইচ্ছে করলে খুব সহজেই যে কোন ছবির রং পরিবর্তন করতে পারেন। আপনি চাইলে ছবির নির্দিষ্ট কোন অংশের রং ও পরিবর্তন করতে পারেন।
আপনি ফোটোগ্রাফির ভুল সংশোধন করতে পারেন
আপনার তোলা ছবি কি সত্যিই ভাল দেখাচ্ছে না? বা সামান্য কিছু ভুল হয়েছে, আপনি চাইলে তা এডাজাস্ট এবং কারেকশান করতে করতে পারেন ফটোশপে। আপনি আলো স্বল্পতা, ডার্ক ফটোস এবং রেড আই সহ আরো অন্যান্য এডজাস্ট করতে পারেন। আপনি চাইলে ছবির নির্দিষ্ট কোন অংশ কেটে দিতে পারেন ক্রোপ টুল ব্যবহার করে। ব্রাশ ব্যবহার করে ছবির নির্দিষ্ট অংশের এডজাস্ট করতে পারেন।আপনি টি-শার্ট ডিজাইন করতে পারবেন
আপনি হয়ত একটি ভাল মানের টি-শার্ট ডিজাইন করতে গিয়ে সমস্যার সম্মুখিন হচ্ছেন? তাহলে আপনার সমস্যার সমাধান হতে পারে ফটোশপ। ফটোশপই দিতে পারে আপনার কঙ্খিত আউটপুট। ফটোশপে দেয়া ইফেক্টগুলোর কারনে টি-শার্টটিকে আরো সুন্দর দেখাবে।
আপনি ছবিতে বিভিন্ন ইফেক্ট দিতে পারেন
ফটোশপে ইচ্ছে করলে আপনি একটি ছবি কে কাঠ কয়লা, জল রং এবং আরো অন্যান্য ইফেক্ট এ রুপান্তর করতে পারেন। আপনি সত্যিই সত্যিই অনেক কিছুই করতে পারেন ফটোশপে। আপনি ইচ্ছে করলে একটি ছবিকে ফটোকপি করা কাগজে, স্টেইন্ড গ্লাস আর্ট এ রুপান্তর করতে পারেন ফিল্টার ব্যবহার করে। ফটোশপ ব্যবহার আপনার কাজে যোগ করবে ভিন্ন মাত্রা। আপনি চাইলে ফটোশপে এমন কিছু একশন ব্যবহার করতে পারেন যা আগে থেকেই ডিজাইনাররা তৈরী করে রেখেছে। এ রকম একশন আপনার কাজকে করে তুলবে আরো আকর্শনীয়।
আপনি ওয়েব ডিজাইন করতে পারেন
ওয়েব ডিজাইনে ফটোশপ কেন? ইমেজ বা ছবি ছাড়া ওয়েবসাইট নেই বললেই চলে। ওয়েব সাইটে ইমেজ ব্যবহার করার আগে এডিট করার জন্য দরকার ফটোশপ। এছাড়াও বর্তমানে ওয়েবসাইটের মূল ডিজাইন ও লে-আউট ফটোশপ এ তৈরি করা হয়। যা পিএসডি টেমপ্লেট হিসেবে পরিচিত। ওয়েবসাইটে আকর্ষনীয় গ্রাফিক্স ব্যবহার করার জন্য ফটোশপের ব্যবহার জানা অবশ্যই জরুরী।
“আপওয়ার্ক” এ সফলতার ১৭ টি দূর্দান্ত টিপ্স এন্ড ট্রিকস্
সুনাম অর্জন করা সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ
ব্যবসার জগতে, এবং আপওয়ার্কে, আপনার অতীত কাজের অভিজ্ঞতা ভবিষ্যত গ্রাহকদের জন্য খ্যাতির কারণ। কাজের সাফল্য স্কোর আপওয়ার্কে আপানার খ্যাতির পরিমাপক। ফ্রিল্যান্সারদের সাফল্যের ইতিহাস মার্কেটপ্ল্যাসের সার্চে রেজাল্ট, র্যাংকিং এবং ক্লায়েন্ট যারা তাদের কাজে নিয়োগ করবে তাদের নির্বাচিত করার সিদ্ধান্ত নেওয়ার ব্যাপারে এক সূদুর প্রসারী প্রভাব বিস্তার করে।
একটি নতুন প্রযেক্ট গ্রহণ আগে
কাজ সম্পর্কে আশা এবং উদ্দীপনা থাকা অত্যন্ত মহৎ একটি ব্যাপার। তবে তার মানে এই নয় যে আপনার বিড করা প্রত্যেকটি প্রযেক্ট এর জন্যই আপনাকে হায়ার করা হবে। সেই প্রযেক্টগুলোই শুধু মাত্র নির্বাচন করুন যেগুলো খুব ভাল ভাবে এবং সময়মত সম্পন্ন করতে আপনি সক্ষম। এখানে আরো পাঁচটি টিপস সংযোজন করা হল কিভাবে নতুন কোন প্রযেক্ট সফলতার সাথে সম্পন্ন করবেন।
১.কাজ বুঝুন ভালভাবে
নিশ্চিত করুন প্রযেক্ট সম্পন্ন করতে যে সকল যোগ্যতা/দক্ষতা প্রয়োজন তা আপনার আছে। ক্লায়েন্ট যে রকম দক্ষতা চাচ্ছেন, তা পাচ্ছেন তো? নিশ্চিত করুন।
২.নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে কাজ সম্পন্ন করতে পারবেন তো?
ডেডলাইন বুঝুন এবং নিশ্চিত হোন যে প্রযেক্ট সফলভাবে সম্পন্ন করার জন্য আপনার সময় আছে। আপনার অন্যান্য অঙ্গীকার এবং সময়সীমা বিবেচনা করুন,পরিকল্পনা অনুযায়ী।
৩.এটা নিশ্চিত করুন যে কাজটির জন্য আপনি যথাযথা উপযুক্ত
এটা জানা যথেষ্ট নয় যে আপনি কাজ করতে পারেন। আপনাকে অবশ্যেই এটা প্রমাণ করতে হবে যে আপনি কাজের জন্য যথাযথ উপযুক্ত।আপনার অভিজ্ঞতা দেখাতে প্রোফাইল, কভার লেটার এবং দক্ষতা ব্যবহার করুন এবং ক্লায়েন্টকে যতটা সম্ভব সহযোগিতা করুন আপনাকে নির্বাচন করার জন্য করার জন্য।
৪. কথোপকথোনে সচ্ছ হোন
ইন্টারভিউতে অংশগ্রহণ করুন, যখন ক্লায়েন্ট আপনাকে ইন্টারভিউর জন্য আমন্ত্রণ জানায়। নিশ্চিত করুন যে আপনি বুঝতে পারছেন ক্লায়েন্ট যা খুজছেন। আপনি হয়ত বুঝতে পারলেন যে, কোন একটি বিষয় আপনার ধারণার সাথে হুবুহু মিলছে না। তাই প্রযেক্ট গ্রহণ করা থেকে বিরত থাকুন।
৫.সময়ের যথাযথ পরিকল্পনা করুন
একদিনে অনেক ঘন্টা সময় পাবেন কাজ করার। এটা নিশ্চিত করুন যে একটি কাজের জন্য কতক্ষণ সময় ব্যয় করতে আপনি সক্ষম, কারন দিনের সবটুকু সময় একটি কাজের জন্য ব্যয় করা সম্ভব নাও হতে পারে। সেই প্রযেক্টগুলোই গ্রহন করুন যেগুলো অত্যন্ত সফলতার সাথে এবং সময়মত সম্পন্ন করা সম্ভব হবে।
একটি নতুন প্রযেক্ট শুরু করার পূর্বে
কাজ শুরু করার পূর্বে, এটা নিশ্চিত করা অত্যন্ত কঠিন যে আপনার প্রযেক্ট টি অত্যন্ত সফলতার সাথে সম্পন্ন হবে, এ ক্ষেত্রে যোগাযোগ একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। কয়েকটি ভাল পদ্ধতির একটি হচ্ছে যে অন্য ফ্রিল্যান্সারদের জন্য কাজ করা।১.প্রযেক্টের বিস্তারিত বিষয় নিয়ে মিটিং করুন
যখনি আপনি স্কাইপি, ফোন, বা গুগল হ্যাঙ্গআউট এর মাধ্যমে ক্লায়েন্ট এর সাথে আলোচনা করবেন, তখন নিশ্চিত হোন যে ক্লায়েন্ট যে সময়ের মধ্যে কাজটি চাচ্ছেন তা আপনি দিতে পারবেন।
২.নির্ধারণ করুন কিভাবে একসঙ্গে কাজ করবেন
মিটিং চলাকালে, ক্লায়েন্ট কে এ ব্যাপারে নিশ্চিত করুন, কাজের অগ্রগতির জন্য কিভাবে আপনি যোগাযোগ রক্ষা করবেন। এছাড়াও আপনি কখন যোগাযোগ করতে চান এবং কোন বিষয়ে আলোচনা করতে চান, ক্লায়েন্ট কে প্রযেক্ট চলা কালীন এসব বিষয়ে আপডেট দিতে থাকুন ।
৩.সময়সীমা নির্ধারণ করুন
আপনার ক্লায়েন্ট এর সঙ্গে কথা বলার কিছু সময়ের মধ্যেই ডেডলাইন নিশ্চিত করুন। ডেডলাইন সম্পর্কিত কোন কিছুই যদি কনমফার্ম হয়ে না থাকে তাহলে আপওয়ার্ক ম্যাসেজ অপশন ব্যবহার করে এ বিষয়ে ক্লায়েন্টকে অবহিত করতে পারেন। এ ক্ষেত্রে পরবর্তীতে কোন সমস্যা হলে এই ম্যাসেজ রেফারেন্স হিসেবে কাজ করবে।
৪. নিশ্চিত করুন কাজের জন্য আপনার যা প্রয়োজন তা পেয়েছেন
আপনার সবগুলো প্রশ্ন একসঙ্গে একটি তালিকা করে রাখুন। আপনার প্রথম মিটিং এ এই তালিকা নিয়ে প্রথমে আলোচনা করা যেতে পারে। প্রশ্ন ছাড়াও, সেখানে কোনো পাসওয়ার্ড, কন্টাক ইনফর্মেশন আপনার প্রয়োজন কিনা তাও জেনে নিন। শুরু করতে প্রয়োজনীয় সবকিছু একত্রিত করুন, এবং এসব ব্যাপারে ক্লায়েন্ট কে এক বার জিজ্ঞাসা করে নিন।
৫. বাস্তব সম্মত হোন
আপনি যখনি উপলব্ধি করবেন যে আপনি হয়ত প্রযেক্টটি সম্পন্ন করতে পারবেন না, তাহলে সরাসরি আপনার ক্লায়েন্ট অবহিত করুন, যেন তিনি সে অনুযায়ী পরিকল্পনা করতে পারেন।
প্রযেক্ট চলাকালীন
যোগাযোগ, সম্মান, এবং সংবেদনশীলতা অত্যন্ত গুরুত্বপূরর্ণ, একটি পেশাদার সম্পর্ক স্থাপনের জন্য।
১. সতর্ক হোন
আপনি আপনার ক্লায়েন্ট এর সঙ্গে যোগাযোগ করুন এবং তাদের জানান যে আপনি তাদের প্রযেক্ট সম্পন্ন করার জন্য কাজ করে যাচ্ছেন, যদিও ক্লায়েন্ট এ ব্যাপারে আপনাকে কোন প্রশ্ন না করে থাকেন।
২. সময়সীমার প্রতি সম্মান প্রদর্শন করুন
নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে প্রযেক্ট শেষ করার ব্যপারে ক্লায়েন্টে এর সাথে আপনি একমত, তা নিশ্চিত করুন। কোন কারণে যদি আপনি নির্দিষ্ট সময়সীমার মধ্যে প্রযেক্ট সম্পন্ন করতে সক্ষম না হন তাহলে অবিলম্বে আপনার ক্লায়েন্ট কে অবগত করুন, যখন আপনি কাজটি সম্পন্ন করতে সক্ষম হবেন।
৩. প্রশ্ন করুন
কোন বিষয়ে সন্দেহ থাকলে প্রশ্ন করুন। আপনার যদি কোন প্রশ্ন থাকে, তাহলে ক্লায়েন্ট কে তা জিজ্ঞাসা করতে ভয় পাবেন না। আপনি কাজ ঠিক ঠিক ভাবেই করছেন, এ বিষয়ে আত্মবিশ্বাসী হওয়া খুবই গুরুত্বপূর্ণ।
৪.রেসপনসিভ হোন
ক্লায়েন্ট যখন আপনাকে ম্যাসেজ পাঠায়, এক দিনের মধ্যে সাড়া দেয়ার চেষ্টা করুন। ক্লায়েন্ট এ ব্যাপারে খুব উদ্বিগ্ন থাকেন যদি ফ্রিল্যান্সার সময় মত তার ম্যাসেজের উত্তর না দেয়।
৫.ফিডব্যাক এর জন্য অনুরোধ করুন
কাজের ফিডব্যাক জানতে ক্লায়েন্ট কে প্রশ্ন করুন। ফলে ক্লায়েন্ট বুঝতে পারবেন আপনি আরো ভালো করতে অত্যন্ত আগ্রহী। হয়ত এ আগ্রহ দেখে ক্লায়েন্ট আপনাকে পরবর্তী কাজের জন্য আবার হায়ার করতে পারেন।
প্রযেক্ট এর শেষ মুহুর্তে
প্রথম ইমপ্রেশন আপনাকে একটি চুক্তিতে জয়ী হতে সাহায্য করতে পারে। চূড়ান্ত ইমপ্রেশন ভালো ফিডব্যাক এবং ভবিশ্যতে পুনরায় ক্লায়েন্ট আপনাকে কাজ দিবেন কিনা তার উপর নির্ভর করে। নিশ্চিত করুন উভয় ইমপ্রেশন সমানভাবে ইতিবাচক দিকে যাচ্ছে।
১. নিশ্চিত করুন ক্লায়েন্ট আপনার উপর খুশি
যখন আপনি আপানার চূড়ান্ত কাজ জমা দিবেন, আপনি আপনার ক্লায়েন্ট কে জিজ্ঞাসা করুন কাজ কেমন হয়েছে বলে তারা মনে করছে? আপনি তাদের প্রত্যাশা কতটুকু পূরণ করত সক্ষম হয়েছেন। অত্যন্ত সচ্ছ হোন যদি কোন পরিবর্তন প্রয়োজন হয়। আপনি যদি সব সময় ফাইভ ষ্টার পাওয়ার মত কাজ করেন, ক্লায়েন্ট আপনাকে হাই রেটেড হিসেবে সাব্যস্ত করবেন এবং সব সময় আপনার সাথেই কাজ করতে পছন্দ করবেন।
২. ক্লায়েন্ট এর সাথে চুক্তি সম্পন্ন করুন
যখন আপনি আপনার চূড়ান্ত কাজ জমা দিবেন এবং ক্লায়েন্ট গ্রহণ করবেন, নিশ্চিত করুন তিনি চুক্তি শেষ করেছেন। চুক্তি শেষে ক্লায়েন্ট সচরাচর কাজের ফিডব্যাক দিয়ে থাকেন। ইতিবাচক ফিডব্যাক আপনার স্কোর বৃদ্ধি, আপওয়ার্ক এ অন্যান্য সম্ভাব্য ক্লায়েন্ট তৈরী কারার সম্ভাবনা তৈরী করতে পারে।
No comments