Header Ads

Information Download and Screenshot

ফাইল ডাউনলোড টিউটোরিয়ালঃ সবচেয়ে সহজে ডাউনলোড করুন যেকোন গান/মুভি/গেমস/ভিডিও/অ্যাপস ইত্যাদি

লেখক ও সম্পাদক : ইঞ্জিনিয়ার নাহিদ আলম - সাহন

ফাইল ডাউনলোড করা খুবই সহজ কাজ। কিন্তু আসলেই কি তাই?ফাইল ডাউনলোড
একটা মুভির রিভিউ পড়ে পছন্দ হল। অথবা একটি গান কোথাও শুনে কানে বাজছে, গানটির নাম ও জানেন। ব্রাউজার এ গিয়ে সার্চ করলেন ওই গান/মুভি ডাউনলোড করার জন্য। গুগল আপনাকে লাখ লাখ সার্চ রেজাল্ট এনে দিল, কিন্তু যেই সাইট এই যান সেই সাইট এই স্প্যাম লিংক এ ভরপুর। আসল ডাউনলোড লিংক কোনটা খুঁজে পাওয়া তো দূরের কথা, একটু আন্দাজ ও করা যায় না।
কি আর করার মন খারাপ করে ফিরে এলেন। হয়তো কারো থেকে নিয়ে নিবেন পরে। কিন্তু দেখা গেলো তা করতে করতে ভুলেই গেলেন ওই গান/মুভির নাম। এরকম ঘটনা সবমসময় ই ঘটে।

এখন প্রশ্ন হল- এই ঘটনার কি কোন সমাধান আছে? চাইলেই কি আপনি আপনার পছন্দের মুভিটির ব্লু-রে প্রিন্ট বা লেটেস্ট গেমটি ডাউনলোড করতে পারবেন, কোন ঝামেলা ছাড়াই?

উত্তর হল- হ্যাঁ, অবশ্যই আছে।

আর, আজ এই পোস্টে আমরা আপনাকে কিভাবে সহজেই ইন্টারনেট থেকে যেকোন কিছু ডাউনলোড করা যায় সেই বিষয়ে জানাবো। এই পদ্ধতিতে আপনি যেকোন গান/মুভি/গেমস ডাউনলোড করতে পারবেন।
⇒টিউটোরিয়াল পড়া শেষ হলে নিচে দেয়া তালিকা থেকে আপনার পছন্দের মুভি গুলো ডাউনলোড করতে পারেন।

যেকোন ফাইল ডাউনলোড এর প্রক্রিয়াঃ

বিভিন্ন ভাবেই আপনি যেকোন ফাইল ডাউনলোড করতে পারেন। কিন্তু সবচেয়ে ভাল এবং নিরাপদ উপায় হচ্ছে  Torrent এর সাহায্যে ফাইল ডাউনলোড করা। অনেকেই Torrent কি বুঝেন না। আবার অনেকেই মনে করেন এটা খুবই কঠিন কাজ। তাই আমরা আজ আপনাদের কে দেখাবো সবচেয়ে সহজ ভাবে টরেন্ট এর মাধ্যমে ফাইল ডাউনলোড করার পদ্ধতি।

ধাপ সমূহঃ
১ম ধাপঃ

  • প্রথমেই uTorrent নামের এই ছোট সফটওয়্যার টি আপনার কম্পিউটার এ ডাউনলোড করে নিন। ডাউনলোড করতে ক্লিক করুন এখানে

  • ডাউনলোড হয়ে গেলে ইন্সটল করে নিন

  • ইন্সটল করা হয়ে গেলে, এই সফটওয়্যার টিই এখন থেকে আপনার ডাউনলোডার হিসেবে ব্যবহৃত হবে।

এবার পরবর্তী ধাপে যাওয়ার পালা।

২য় ধাপঃ


সব সময় আপনি যেই ফাইল টি ডাউনলোড করতে চান, হোক সে ভিডিও/অডিও/গেমস ইত্যাদি।
  • তা করতে প্রথমে চলে যান – এখানেএটা হল আপনার ডাউনলোড করার সাইট। এখানে যেকোন ফাইল পাবেন।
ফাইল ডাউনলোড
  • এবার সার্চ বক্স এ আপনার ফাইল টির নাম লিখুন (যেটি ডাউনলোড করতে চান) এবং এন্টার কি চাপুন। উদাহরণ হিসেবে আমরা Batman vs Superman মুভিটি ডাউনলোড করতে চাচ্ছি। এবং ওই নামটি লিখে সার্চ দিয়েছি।
ফাইল ডাউনলোড পদ্ধতি
  • এবার পরবর্তী পেইজ এ আপনি সার্চ করা ফাইল টির নামে অনেক গুলো ফাইল দেখতে পাবেন।

এবার যেই ফাইল টি আপনার পছন্দ হয়। সেই ফাইল টি ডাউনলোড করতে নিচের নিয়ম অনুসরণ করুন।

  • প্রথমে দেখবেন ফাইল গুলোর ডান পাশে সিডার এবং লিচার এর সংখ্যা দেয়া আছে। আপনার কাজ হল সব সময় যেই ফাইলটির সিডার এর সংখ্যা লিচার থেকে বেশি হবে, সেটি ডাউনলোড করা। কারণ, তাতে আপনি ডাউনলোড স্পিড খুবই ভাল পাবেন।
ফাইল ডাউনলোড
এবার ডাউনলোড করার পালা- ডাউনলোড করার কয়েকটি নিয়ম রয়েছে। নিচে আলাদা ভাবে সেগুলো উল্লেখ করলাম।

  • ডাউনলোড করতে হলে আপনাকে প্রথমে ডাউনলোড বাটন টি চিনতে হবে। ফাইল টির ডান পাশে কয়েকটি বাটন দেখবেন।
ফাইল ডাউনলোড
  • এর মাঝে এই বাটন টি ডাউনলোড বাটন।
ফাইল ডাউনলোড
  • এটি ম্যাগনেট লিংক বাটন।
ফাইল ডাউনলোড
  • আর এটি কমেন্ট বাটন।
ফাইল ডাউনলোড
  • এখন ডাউনলোড করার সবেচেয়ে সহজ উপায় হল- ম্যাগনেট বাটন টিতে ক্লিক করা। ক্লিক করার কিছুক্ষণ এর মধ্যেই দেখবেন আপনার পিসিতে অটো uTorrent সফটওয়্যার টি ওপেন হয়েছে।
ফাইল ডাউনলোড
  • আর যেই ফাইলটি ডাউনলোড হতে চলেছে, সেটির বিস্তারিত দেখাবে।
ফাইল ডাউনলোড
  • এবার আপনি OK বাটন টি চাপুন। আর সাথে সাথেই ডাউনলোড শুরু হয়ে যাবে।

আরেকটি প্রক্রিয়াঃ

এবার দেখাবো কিভাবে ডাউনলোড বাটন দিয়ে ডাউনলোড করবেন।

  • প্রথমে ফাইল টির ডান পাশের ডাউনলোড বাটন টিতে ক্লিক করুন।
ফাইল ডাউনলোড
  • এবার একটি ফাইল ডাউনলোড করার জন্য একটি পপ আপ উইন্ডো আসবে। তো সেই ফাইলটি ডাউনলোড করুন। এটি হল ওই ফাইল টির মেইন টরেন্ট ফাইল।

  • এবার যেই ফোল্ডারে মেইন টরেন্ট ফাইল টি ডাউনলোড হয়েছে। সেটি খুলুন। আর ওই টরেন্ট ফাইলটিতে ডবল ক্লিক করুন।
ফাইল ডাউনলোড
  • সাথে সাথে uTorrent সফটওয়্যার টি ওপেন হবে।
ফাইল ডাউনলোড
  • আর, OK বাটনে ক্লিক করুন। সাথে সাথে ডাউনলোড শুরু হবে।

টরেন্ট ফাইল ডাউনলোড করতে কিছু টিপ্সঃ

  • সব সময় যেই ফাইলের সিডার এর সংখ্যা লিচার থেকে বেশি। ওই ফাইল টিই ডাউনলোড করবেন। তাহলে ফুল স্পিড পাবেন।

  • ফাইলটি কি আসল না ভুয়া তা চেক করতে কয়েকটি জিনিস খেয়াল রাখবেন- ১। ফাইলটির আপলোডার এর র‍্যাংক কি- যদি দেখেন তিনি Elite বা Verified তাহলে ফাইলটি আসল।
ফাইল ডাউনলোড
  • আর যদি আপলোডার এর র‍্যাংক না থাকে। তাহলে আপনি চেক করতে পারেন কমেন্ট গুলো। যদি আসল ফাইল হয়, তাহলে, কমেন্ট গুলোও ভালই হবে। আর না হলে তো কমেন্ট এ অন্যরা বলবেই যে ফেইক।

  • যদি ফাইল এ কমেন্ট না থাকে। তাহলে, স্ক্রিন শট দেখবেন। গেমস/ভিডিও ফাইল গুলোর সাথে সাধারণত আপলোডার স্ক্রিনশট দিয়ে দেন। অডিও এর সাথে হয়তো স্ক্রিনশট পাবেন না।

  • আর আরেকটি নিয়ম হল – সিডার যদি খুবই বেশি হয় তাহলে, নিঃসন্দেহে ধরে নিবেন, যে ফাইলটি আসল। (মাঝে মাঝে ব্যতিক্রম ও হতে পারে)

  • ফাইল ডাউনলোড হয়ে গেলে, সাধারণত ফাইলটি অটোমেটিক সিডিং শুরু হ‍য়ে যায়। মানে, আপনার কম্পিউটার থেকে ফাইলটি আপলোড হওয়া শুরু করে। এখন আপনি যদি চান। আপনি সিড করে, অন্যদের উপকার করতে পারেন।
ফাইল ডাউনলোড
  • তবে যদি আপনি সিড না করতে চান,  তাহলে Stop বাটনটি ক্লিক করলেই সিডিং অফ হয়ে যাবে।
ফাইল ডাউনলোড
  • অনেক সময় দেখা যায়, আপনার আপলোড স্পিড খুবই বেশি, ডাউনলোড স্পিড এর চেয়ে। এই ক্ষেত্রে কয়েকভাবে তা করা যায়।
    • যখনই ডাউনলোড শুরু করবেন, এর আগে ফাইলটির ডিটেইলস যখন দেখাবে, তখন  নিচে বাম কোণায় Advance বাটন এ ক্লিক করুন।ফাইল ডাউনলোড
    • এবার নতুন একটি উইন্ডো আসবে। ওই খানে একটি অপশন পাবেন Maximum Upload Rate, সেটির পাশের বক্সে  দেখবেন ০ লিখা রয়েছে। সেখানে আপনি 1 লিখুন। এর মানে এখন থেকে আপলোড স্পিড ১ KB এর বেশি হবে না।ফাইল ডাউনলোড

  • আর যদি কখনো শুরুতেই আপলোড স্পিড না কমিয়ে থাকেন বা ভুলে যান। তাহলে, যেই ফাইলটি ডাউনলোড হচ্ছে সেটিতে Right Click করুন, এরপর Bandwidth Allocation অপশন এ মাউস নিয়ে যান। এবং Set Upload Limit এর অপশন থেকে 1 KB সিলেক্ট করে দিন। দেখবেন আপলোড স্পিড ১ কেবি এর উপরে উঠবেনা।
ফাইল ডাউনলোড
  • টরেন্ট ফাইল যদি ডাউনলোড পজ (Pause) দিতে চান তাহলে,  আপনি ফাইলটিতে Right Click করে Stop বাটনে ক্লিক করবেন। অথবা উপরের Stop বাটনে ক্লিক করেও পজ দিতে পারেন।
ফাইল ডাউনলোড
  • আর রিজুম(Resume) করতে চাইলে, আবারো রাইট ক্লিক করে Start বাটনে ক্লিক করুন। অথবা উপরের Start বাটনে ক্লিক করেও Resume করতে পারেন। কখনোই পজ করতে Pause বাটনে ক্লিক করবেন নাকারণ, ডাউনলোড Pause হবে ঠিকই, কিন্তু আপলোড হতেই থাকবে। তাই একবারে Stop বাটনের সাহায্যে পজ করবেন।
ফাইল ডাউনলোড
  • অনেক সময় হয়তো আপনি আপনার প্রিয় ফাইলটি আমরা প্রথমে যেই সাইট টির লিঙ্ক দিয়েছিলাম, সেখানে পাবেন না। তখন আপনি অন্য কয়েকটি এমন টরেন্ট সাইট রয়েছে, যেগুলোয় খুঁজতে পারেন।
    • সেগুলোর মধ্যে কয়েকটি বিশ্বাসযোগ্য সাইট হল-

      The Pirate Bay, ExtraTorrent, RARBG, Torrenthound, TorrentDownloads ইত্যাদি। এসব সাইট থেকেও একই নিয়মে যেকোন ফাইল ডাউনলোড করতে পারবেন।

কিভাবে মোবাইলে টরেন্ট থেকে ফাইল ডাউনলোড করবেনঃ


যদি আপনার এন্ড্রয়েড মোবাইল থাকে। তাহলে-

  • প্রথমে একটি ফাইল ডাউনলোড করুন। ডাউনলোড করতে ক্লিক করুন এখানে। আর ইন্সটল করে নিন। এটি uTorrent এর এন্ড্রয়েড ভার্সন।

  • এবার মোবাইল ব্রাউজার দিয়ে (ক্রোম/ফায়ারফক্স ভাল কাজ করবে) এই সাইটে  যান। আর আপনার প্রিয় ফাইলটির নাম দিয়ে সার্চ দিন।
Mobile utorrent (15)
  • এবার সার্চ রেজাল্ট থেকে আপনার পছন্দের ফাইলটির পাশের ম্যাগনেট লিংক এ ক্লিক করুন। আর সাথে সাথেই uTorrent এপটি ওই ফাইলটির ডিটেইল সহকারে ওপেন হবে।
ফাইল ডাউনলোড
  • এবার আপনি Add এ ক্লিক করে ডাউনলোড শুরু করুন।

ডাউনলোড বাটন দিয়ে ডাউনলোড পদ্ধতিঃ
  • প্রিয় ফাইলটির পাশে ডাউনলোড বাটনটিতে ক্লিক করুন।

  • আপনাকে অপশন দেখানো হবে, যে কোন এপ দিয়ে এই ফাইলটি খুলবেন। আপনি লিস্ট থেকে uTorrent সিলেক্ট করুন।
ফাইল ডাউনলোড
  • এবার ফাইলটির ডিটেইল সহ uTorrent এপ টি ওপেন হবে। আপনি Add এ ক্লিক করলেই ডাউনলোড শুরু হয়ে যাবে।

মোবাইল এর জন্য টিপসঃ

আপলোড স্পিড ১কেবি তে সীমাবদ্ধ রাখতে-
  • uTorrent এপ টি ওপেন করুন।

  • এবার উপরে বাম কোণায় মেনু বাটনে ক্লিক করুন।
ফাইল ডাউনলোড

  • এবার Settings এ ক্লিক করুন
ফাইল ডাউনলোড
  • এরপর Upload Limit এ ক্লিক করুন
ফাইল ডাউনলোড
  • শেষ বারের মত আপলোড স্পীড 1 KB/কেবি তে সেট করুন
ফাইল ডাউনলোড

মেমোরি কার্ডে পর্যাপ্ত পরিমাণ জায়গা রাখুনঃ

  • ডাউনলোড করার ফাইল টির ডিটেইল দেখানোর সময় আপনাকে দেখানো হবে কোন ফোল্ডার এ ডাউনলোড হবে ফাইলটি। আর কত MB/GB ওই ফাইলটি। এবং আপনার কত পরিমাণ জায়গা খালি আছে।
ফাইল ডাউনলোড

  • যদি যথেষ্ট পরিমাণ জায়গা না খালি থাকে তাহলে অন্য ফোল্ডার সিলেক্ট করুনফাইল ডাউনলোড

হাইলাইটসঃ
এতক্ষণ যা পড়লেন, আপনি যদি এই বিষয়ে নতুন হন তাহলে হয়তো কথা গুলো আপনার কাছে স্পষ্ট নাও হতে পারে। তাই আমরা এই পর্যায়ে পুরো প্রক্রিয়াটির একটি হাইলাইটস এখানে দিলাম। আশা করি, এবার অন্তত পক্ষে অনেকটা ক্লিয়ার হবে বিষয়টি।

ধাপ সমূহঃ

  • প্রথমেই uTorrent সফটওয়্যার টি ডাউনলোড করে ইন্সটল করে নিন।

  • এবার যেকোন টরেন্ট সাইটে গিয়ে আপনার পছন্দের ফাইল টির নাম লিখে সার্চ দিন

  • এরপর যে ফাইলটি আপনার কাছে ভাল লাগে + যেটিতে লিচার এর চেয়ে বেশি সিডার আছে, সেটির পাশে ম্যাগনেট লিংক এ ক্লিক করুন।

  • এরপর নতুন একটি উইন্ডো আসবে ওই ফাইলটির ডিটেল সহকারে। আপনি চাইলে নিচে বাম কোণায়, Advanced অপশনে গিয়ে Upload Limit বক্সে 1 KB/কেবি লিখে, OK চাপুন। ডাউনলোড স্টার্ট করুন।

  • আর ডাউনলোড শেষ হলে ফাইলটিতে রাইট ক্লিক করে  Stop করে দিন। বা চাইলেই সীডিং চালিয়ে যেতে পারেন।

এই হল মাত্র ৫ টি পয়েন্টে পুরো বিষয়টির ব্যাখ্যা।

কিছু প্রশ্নের উত্তরঃ

অনেকেই টরেন্ট সম্পর্কে জানেন। তবে অনেকেই আছেন এখনো এতটা বুঝেন না। আমরাও এরকম অবস্থাতে ছিলাম। যার ফলেই আমরা জানি যে, প্রথমে কি কি প্রশ্ন আসে টরেন্ট বিষয়ে। আর এসব নিয়ে নিচের অংশ। দেখে নিন, আশা করি কিছু গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্নের উত্তর পাবেন।

টরেন্ট বিষয়টা কি?
সহজে বলতে গেলে- এটি এক ধরনের ফাইল শেয়ারিং সিস্টেম। যেখানে আপনি ফাইল টি কোথাও আপলোড না করে অনেকের সাথে শেয়ার করতে পারবেন, সরাসরি আপনার কম্পিউটার থেকেই। তার জন্য আপনার একটি সফটওয়্যার দরকার। এরকম অনেক টরেন্ট সফটওয়্যার রয়েছে। যার মধ্যে uTorrent, Vuze, aTorrent অন্যতম।

টরেন্ট কি পাইরেসি?
– না। টরেন্ট পাইরেসি না। কারণ, আপনি ফাইলটি শেয়ার করছেন। কোথাও আপলোড করছেন না। আপনার পিসি তেই ফাইলটি আছে। কিন্তু কপিরাইটেড যেকোন ফাইল শেয়ার করা কি ঠিক নাকি ঠিক না, এ নিয়ে এখনো প্রশ্ন থেকেই যায়।

সিডার কি?
সহজে- সিডার হল, যাদের পিসিতে ফাইলটি বর্তমানে ডাউনলোড হয়ে গেছে এবং তারা ওই ফাইলটি বর্তমানে আপলোড করছে।

♦লিচার কি?
যারা বর্তমানে ফাইলটি ডাউনলোড করছে।

♦সিডার বেশি হলে কি লাভ?
সিডার বেশি মানে অনেকেই একসাথে আপলোড করছেন। যার ফলে যারা ডাউনলোড করছে, তারা অনেক বেশি ডাউনলোড স্পীড পাবেন।

♦লিচার বেশি হলে?
মানে বেশি মানুষ ডাউনলোড করছে। বিপরীতে কম মানুষ আপলোড করছে। তাই, ডাউনলোড স্পীড কম হবে।

সিডার- লিচার থেকে কত গুণ বেশি হলে ভাল?
এটা আসলে নির্ভর করে যারা সিড করছে তাদের আপলোড স্পিড এর উপর। ধরুন,  ১ জন ১০০ MBps এ আপলোড বা সীড করছেন। আর ১০ জন ডাউনলোড করছেন যাদের সবার ইন্টারনেট স্পীড ১০ MBps করে। তাহলে তারা গড়ে ১০ MBps করেই ডাউনলোড স্পীড পাবেন। কিন্তু যদি সিডার একজন থাকেন এবং ১ MBps স্পীডে আপলোড করেন, তাহলে ১০ জন এর প্রত্যেকে পাবেন ১ MBps এর ১০ ভাগের ১ভাগ।
তাই যেহেতু আমরা জানি না যে, কোন সিডার কত স্পীডে আপলোড করছেন। সেহেতু সহজ হিসাব হল- সিডার যদি লিচার থেকে বেশি হয়,তাহলেই হল। ভাল স্পীড এর জন্য আমরা মনে করি সীডার ১০ আর লিচার ৪-৫ জন হলেই যথেষ্ট।  আর, যদি সিডার ১০০০ আর লিচার ২০০ হয় তাহলে তো কথাই নেই।

শেষ কথাঃ

অনেকেরই বিভিন্ন ফাইল ডাউনলোড করা নিয়ে বিভিন্ন সময় সমস্যায় পড়তে হয়। আর সেই কথা মাথায় রেখেই, আমাদের আজকের এই পোস্ট।  আশা করি পোস্ট টির প্রতিটি ধাপ আপনারা বুঝতে পেরেছেন।

তবে যদি না বুঝেন (যেকোনো স্টেপ/পদ্ধতি) আমাদের জানান নিচে কমেন্ট করে বা আমাদের ফেসবুক পেজে আমরা আপনার সমস্যা সমাধান করতে চেষ্টা করব।

আর এই পোস্টটি অনেক বড় একটি পোস্ট।  আপনি যদি পুরোটা পড়ে থাকেন, তাহলে আপনাকে ধন্যবাদ। আর না পড়লেও ধন্যবাদ। আমাদের ও প্রচুর সময় ও শ্রম ব্যয় হয়েছে এই পোস্ট টির পেছনে। তাই, যদি আপনারা এই পোস্ট থেকে একটু হলেও উপকৃত হন, বা আপনাদের ভাল লাগে। তাহলে পোস্ট টি শেয়ার করুন। আমাদের এই পোস্ট টিকে শেয়ার করে, ছড়িয়ে দিয়ে আমাদের সাথেই থাকুন। আবারো ধন্যবাদ।

আরো কিছু কথাঃ

Entertainment Maniac কোন ভাবেই পাইরেসি সাপোর্ট করে না। এবং এই কারণেই আমরা আসলে কোন মুভি বা গান এর সরাসরি ডাউনলোড লিংক শেয়ার করি না। যার ফলে আপনাদের এই পদ্ধতি টি শিখালাম, যেই পদ্ধতি পাইরেসির মাঝে পড়ে না।

তবে আপনি যদি, যেই ফাইল ডাউনলোড করতে চান তা আসল/অফিসিয়াল বিক্রেতা থেকে কিনতে পারেন তাহলে, আমরা বলবো তাই করতে। তাহলেই, আসলে ফাইলটির মালিক তার কষ্টের দাম পাবে। আর যদি কোন ভাবে তা সম্ভব না হয় তা হলে আপনি ভিডিও/গান এর জন্য ইউটিউব এ সেই  শিল্পীর অফিশিয়াল একাউন্ট এ গিয়ে চেক করুন। সেখানে দেখুন। আর সফটওয়্যার এর ক্ষেত্রে পেইড সফটওয়্যার এর অল্টারনেটিভ ফ্রীওয়্যার ব্যবহার করুন। উদাহরণ- উইন্ডোজ অপারেটিং সিস্টেম না ইউজ করে লিনাক্স ইউজ করুন। IDM এর বদলে EagleGet Downloader ব্যবহার করুন ইত্যাদি। এরকম আরো হাজারো অপশন রয়েছে।

আর যদি বাংলাদেশ এ থাকেন। তাহলে দেশি শিল্পী দের গান ডাউনলোড না করে সিডি কিনে ফেলুন। বা ডাউনলোড করে ফেলার পর যদি গান ভাল লাগে, তাহলেও কিনে ফেলুন সিডি। চিন্তা করুন, বহু কষ্ট করে রাত দিন জেগে পড়া লেখা করলেন, আর পরিক্ষার দিন দেখলেন যে কোন দিন পড়েনি সে আপনার খাতা কপি করে, আপনার চেয়ে বেশি নম্বর পেল। বিষয়টা অতি বেদনাদায়ক।

যাই হোক, আমরা শুধুমাত্র এটি বলতে চাচ্ছি যে,
Entertainment Maniac পাইরেসির বিপক্ষে।

ইউটিউব থেকে কিভাবে ভিডিও ডাউনলোড করবেন (কম্পিউটার ও মোবাইল এর সাহায্যে)

YouTube এ আমরা প্রায়ই নানা ভিডিও দেখি। মাঝে মাঝে কিছু ভিডিও দেখে মনে হয় যে এগুলো যদি ডাউনলোড করা যেত! কারণ, সব সময় তো আর আমরা ইউটিউবে গিয়ে বসে থাকি না। মাঝে মাঝে অফ লাইনে থাকা কালীন ও ভিডিও দেখার ইচ্ছে হতেই পারে। তবে খুশির খবর হচ্ছে এই যে ইউটিউবে থেকে ভিডিও ডাউনলোড করা খুবই সহজ। আমরা আজকে আপনাদের দেখাবো কিভাবে ইউটিউব থেকে কম্পিউটার এবং মোবাইল এর মাধ্যমে ভিডিও ডাউনলোড করবেন। এই পোস্টে আমরা আপনাকে ইউটিউব থেকে ভিডিও ডাউনলোড করার অনেক গুলো সিস্টেম স্টেপ বাই স্টেপ বলে দিব । আপনার যেটা ভাল লাগে সেটাই ব্যবহার করবেন।
কম্পিউটার এর মাধ্যমেঃ
এখানে একাধিক সিস্টেম দেয়া আছে, আপনার যেটা ভাল লাগে, সহজ লাগে সেটাই ইউজ করবেন।

কোন সফটওয়্যার ছাড়াই কিভাবে ইউটিউব ভিডিও ডাউনলোড করবেন?:

অনেকেই রয়েছেন যারা সফটওয়্যার জনিত সমস্যায় যেতে চান না, কিন্তু ইউটিউবের ভিডিও ও ডাউনলোড করতে চান, তাদের জন্যই এই সহজ সিস্টেমটি।

  • প্রথমেই আপনার কম্পিউটার থেকে আপনার পছন্দের ব্রাউজার দিয়ে ইউটিউব এ চলে যান। গিয়ে যেই ভিডিও টি ডাউনলোড করতে চান, তা প্লে করুন।
ইউটিউব থেকে ভিডিও ডাউনলোড
  • ভিডিও টি প্লে করার পর ব্রাউজার এর উপরে এড্রেস বার এ দেখেবন ভিডিওটির ওয়েব এড্রেসটি রয়েছে। এখন ভিডিও টির এড্রেস এ আপনাকে  youtube লিখাটির সামনে ss লাগাতে হবে। উদাহরণ হিসেবে ধরুন একটি ভিডিওর এড্রেস হল https://www.youtube.com/watch?v=Gzewqj0yjoQ । এখন আপনাকে এটি ডাউনলোড করতে হলে https://www. এর পর ss যুক্ত করতে হবে। মানে ডাউনলোড করার লিঙ্কটি হবে  https://www.ssyoutube.com/watch?v=Gzewqj0yjoQ । আমি এখানে ss কে লাল রঙে হাইলাইট করে দিয়েছি আপনাদের সুবিধার্থে।
ইউটিউব থেকে ভিডিও ডাউনলোড
  • এবার  ss যোগ করার পর আপনি কি-বোর্ডে  Enter চাপুন। আর দেখবেন আপনি একটি নতুন সাইটে চলে গিয়েছেন। ঐ সাইটে দেখেবন আপনার পছন্দের ভিডিওটির ডাউনলোড করার সব অপশন রয়েছে।
ইউটিউব থেকে ভিডিও ডাউনলোড
  • এখন আপনি চাইলে আপনার ভিডিওটির বিভিন্ন ফরম্যাট এবং সাইজ থেকে আপনার পছন্দের সাইজ ও ফরম্যাট সিলেক্ট করতে পারবেন।
ইউটিউব থেকে ভিডিও ডাউনলোড
  • সিলেক্ট করা হয়ে গেলেই ভিডিওটি ডাউনলোড শুরু হয়ে যাবে। কারো ব্রাউজারে এমনিতেই ডাউনলোড হওয়া শুরু করবে আর কোনটায় হয়তো  Save File সিলেক্ট করতে হবে। তবে যাই হোক আপনি এভাবেই ইউটিউব ভিডিও খুব সহজেই ডাউনলোড করতে পারবেন।
ইউটিউব থেকে ভিডিও ডাউনলোড

আরেকটি সহজ সিস্টেমঃ


  • প্রথমে ইউটিউবে গিয়ে আপনার পছন্দের ভিডিও টি প্লে করুন , এরপর ওই ভিডিও টির এড্রেসটি কপি করুন
ইউটিউব থেকে ভিডিও ডাউনলোড

  • এবার চলে যান  http://en.savefrom.net/ সাইটটিতে। এবং সেখানে একটি বক্স দেখেতে পাবেন ওই বক্সটিতে একটু আগে কপি করা এড্রেস টি পেস্ট করুন।
ইউটিউব থেকে ভিডিও ডাউনলোড
  • পেস্ট করা হয়ে গেলে পাশের নীল তীর আইকন টিতে ক্লিক করুন। অপেক্ষা করুন।
ইউটিউব থেকে ভিডিও ডাউনলোড
  • একটু পরই দেখবেন আপনি ভিডিওটি ডাউনলোড করার সব অপশন পাচ্ছেন। সুতরাং, আপনার প্রিয় সাইজ ও ফরমাট টি সিলেক্ট করুন আর ভিডিওটি ডাউনলোড হয়া শুরু হয়ে যাবে সাথে সাথেই।
ইউটিউব থেকে ভিডিও ডাউনলোড

UC Browser দিয়ে ভিডিও ডাউনলোড করুনঃ

আমরা যারা মোবাইল এ ইন্টারনেট ব্রাউজ করি, তাদের প্রায় সবাই UC Browser এর কথা শুনেছি এবং ব্যবহারও করেছি। মজার বিষয় হল কম্পিউটার এ ব্যবহার এর জন্য ও এই ব্রাউজার এর একটি ভার্সন রয়েছে। এবং এর সাহায্যে খুব সহজেই ইউটিউবের ভিডিও ডাউনলোড করা যায়।

কিভাবেউটিউব এর ভিডিও UC Browser দিয়ে ডাউনলোড করবেনঃ


  • এরপর ব্রাউজারটি ইন্সটল করুন।


  • সেখানে গিয়ে আপনার পছন্দের ভিডিওটি প্লে করুন এবং কিছুক্ষন অপক্ষা করুন।

  • কিছুক্ষনের মধ্যেই দেখবেন ভিডিও টির নিচে একটি কমলা রঙের ডাউনলোড বাটন এসেছে।
ইউটিউব থেকে ভিডিও ডাউনলোড
  • এবার ওই ডাউনলোড বাটনটি তে ক্লিক করুন। ক্লিক করলে ঐ ভিডিওটি ডাউনলোড করার বিভিন্ন সাইজ ও ফরম্যাট অপশন দেখতে পাবেন।
ইউটিউব থেকে ভিডিও ডাউনলোড
  • আপনার পছন্দের ফরম্যাট ও সাইজ সিলেক্ট করুন আর সাথে সাথেই ভিডিও টির ডাউনলোড শুরু হয়ে যাবে।

সফটওয়্যার এর সাহায্যে ইউটিউব ভিডিও ডাউনলোডঃ

উপরের বর্ণিত পদ্ধতিতেই আশা করি আপনি সফল হবেন। তবে কেউ যদি চান সফটওয়্যার এর সাহায্য নিতে তাহলে এই অংশ দেখতে পারেন।

EagleGet Downloader এর সাহায্যেঃ-
অনেকেই ইউটিউব থেকে ভিডিও ডাউনলোড করেন বিভিন্ন ভিডিও ডাউনলোডার এর সাহায্যে, যার মধ্যে Internet Download Manager(IDM) অন্যতম। কিন্তু IDM একটি পেইড সফটওয়্যার হওয়ার কারণে আমাদের মাঝে মাঝেই ভেজালে পড়তে হয়। যদিও IDM ক্র্যাক করে ব্যবহার করা যায়, তা সত্ত্বেও আপনি কিন্তু এটি আর আপডেট করতে পারবেন না।

সুতরাং, এ সকল সমস্যা থেকে মুক্তির পথ হিসেবে আপনি IDM এর অল্টারনেটিভ  হিসেবে EagleGet Download Manager কে বেছে নিতে পারেন। কারণ, EagleGet একদম ফ্রী এবং আপনি চাইলেই যেকোন সময় এটি আপডেট ও করতে পারবেন।এবং এই এপ এর সাহায্যে আপনি যেকোন সাইট এর ভিডিও, অডিও থেকে শুরু করে যেকোন ধরনের ফাইল ই  ডাউনলোড করতে পারবেন। আর সত্যি বলতে EagleGet আপনাকে IDM এর মত বা এর চেয়েও বেশি সুবিধা দেবে, একটি ফ্রী এপ থেকে আর কি ই বা আশা করতে পারি?

কিভাবে ভিডিও ডাউনলোড করবেনঃ

ইউটীউব থেকে কিভাবে সফটওয়্যার এর মাধ্যমে ভিডিও ডাউনলোড করবেন তা এখন স্টেপ বাই স্টেপ জানাবো।


  • এরপর আপনি এপ টি কে অন্যান্য সফটওয়্যার এর মতই ইন্সটল/সেট আপ করে নিন। সেট আপ করতে, যে ই ফাইল টি নামিয়েছেন সেটিতে ডাবল ক্লিক করলেই সেট আপ স্টার্ট হবে। এবং বাকী নির্দেশনা অনুযায়ী Next এ ক্লিক করে সেট আপ করে নিন।

  • সেট আপ শেষ হয়ে গেলে আপনার ব্রাউজারে EagleGet এর একটি এক্সটেনশন ইন্সটল করতে হবে। এক্সটেনশন টি ইন্সটল করার প্রসেস এর জন্য এখানে যান- Mozilla Firefox ইউজার, Chrome ইউজার

  • EagleGet extension টি ইন্সটল হয়ে গেলে। আপনি ইউটিউবে গিয়ে আপনার পছন্দের ভিডিওটি প্লে করুন

  • কিছুক্ষণ পর দেখবেন EagleGet extension টি তে কিছু  নোটিফিকেশন দেখাচ্ছে, ওই খানে ক্লিক করুন।
ইউটিউব থেকে ভিডিও ডাউনলোড
  • ক্লিক করার পর আপনার ভিডিওটির বিভিন্ন ধরনের সাইজ ও ফরম্যাট দেখাবে। আপনার পছন্দের সাইজে ক্লিক করুন আর ভিডিওটি ডাউনলোড হওয়া শুরু হবে।
ইউটিউব থেকে ভিডিও ডাউনলোড

মোবাইল দিয়ে কিভাবে ডাউনলোড করবেনঃ
অফিসিয়াল YouTube এপ দিয়ে কিভাবে ইউটিউব ভিডিও ডাউনলোড করবেনঃ

আপনাদের যাদের Android মোবাইল রয়েছে তারা এই সিস্টেম টি ফলো করতে পারবেন। আর সাধারণত সব এন্ড্রয়েড ফোনেই ইউটিউব এর অফিসিয়াল এপটি থাকে। আপনার ফোন যদি এন্ড্রয়েড না ও হয়ে থাকে, তবুও আপনার ফোনে ইউটিউব এর অফিশিয়াল এপটি থাকলেই হবে। আর অবশ্যই এপটির লেটেস্ট ভার্সন ইউজ করবেন। যদি লেটেস্ট ভার্সন না থাকে তাহলে আপডেট করে নিবেন।
ধাপ সমূহঃ
  • প্রথমেই মোবাইলে ইউটিউব এপটি ওপেন করুন।
  • তারপর আপনার পছন্দের ভিডিও টি প্লে করুন।
  • এবার ভিডিও টির নিচে ডান কোনায় একটি ডাউনলোড বাটন দেখতে পাবেন। ওই ডাউনলোড বাটনটিতে ক্লিক করুন।
মোবাইলে ইউটিউব ভিডিও ডাউনলোড
  • এরপর ভিডিও টি যত সাইজ ও ফরম্যাট এ ডাউনলোড করতে পারবেন তার একটি লিস্ট দেখতে পাবেন। আপনার পছন্দের সাইজে ক্লিক করুন আর তারপর  OK চাপুন। আর সাথে সাথেই ভিডিও টি ডাউনলোড হওয়া শুরু হয়ে যাবে।
মোবাইলে ইউটিউব ভিডিও ডাউনলোড
  • আপনি চাইলেই ভিডিওটি ডাউনলোড করা বন্ধ করতে পারবেন, আবারো ডাউনলোড বাটনটিতে ক্লিক করুন। আর ডাউনলোড বন্ধ করুন স্ক্রিনে আসা  Stop Saving অপশন থেকে।
মোবাইলে ইউটিউব ভিডিও ডাউনলোড
সফটওয়্যার এর সাহায্যে কিভাবে মোবাইল দিয়ে ইউটিউব ভিডিও ডাউনলোড করবেনঃ
আপনার যদি অফিসিয়াল ইউটিউব এপ এর লেটেস্ট ভার্সন না থাকে তাহলে আপনি অন্য একটি এপ এর সাহায্যেই আপনার এন্ড্রয়েড ফোনে ইউটিউব ভিডিও নামাতে পারেন।
যেভাবে করবেনঃ
  • প্রথমেই আপনাকে  Tubemate নামের একটি এপ ডাউনলোড করতে হবে। ডাউনলোড করতে ক্লিক করুন এখানে
  • ডাউনলোড হয়ে গেলে এপটি  install করে ওপেন করুন।
  • এবার এপটির বাম কোনায় উপরে মেনু আইকন টিতে ক্লিক করুন।
মোবাইলে ইউটিউব ভিডিও ডাউনলোড
  • এরপর অপশন গুলো থেকে  YouTube সিলেক্ট করুন।
মোবাইলে ইউটিউব ভিডিও ডাউনলোড
  • এবার আবার এপ এ ফিরে যান এবং আপনার পছন্দের ভিডিও টি প্লে করুন
  • প্লে করার পর উপরে সবুজ ডাউনলোড বাটনটি ক্লিক করুন। ক্লিক করার পর আপনি ভিডিও টির ডাউনলোডেবল সব সাইজ ও ফরম্যাট দেখতে পাবেন।
মোবাইলে ইউটিউব ভিডিও ডাউনলোড
  • আপনার পছন্দের সাইজ টিতে ক্লিক করুন । আর এরপর নিচের সবুজ ডাউনলোড বাটনটিতে ক্লিক করুন, সাথে সাথেই  ভিডিও টি ডাউনলোড শুরু হয়ে যাবে।
মোবাইলে ইউটিউব ভিডিও ডাউনলোড
যেকোন মোবাইল দিয়ে কিভাবে ইউটিউব ভিডিও ডাউনলোড করবেনঃ
এই পদ্ধতির সাহায্যে আপনি যেকোন মোবাইল দিয়েই ইউটিউব ভিডিও ডাউনলোড করতে পারবেন।
  • প্রথমেই আপনার মোবাইল এর ব্রাউজার থেকে  YouTube এ চলে যান। এবং আপনার পছন্দের ভিডিও টি প্লে করুন।
  • এবার ওই ভিডিও টির এড্রেস টি কপি করে নিন।
মোবাইলে ইউটিউব ভিডিও ডাউনলোড
  • এবার আপনি চলে যান এখানে- http://en.savefrom.net/
  • এই সাইটে গিয়ে একটি খালি বক্স দেখবেন। 
মোবাইলে ইউটিউব ভিডিও ডাউনলোড
  • আর ওই বক্সে একটু আগে কপি করা এড্রেস টি পেস্ট করুন। আর এন্টার/ওকে চাপুন।
মোবাইলে ইউটিউব ভিডিও ডাউনলোড
  • এরপর আপনি ওই ভিডিওটির সব ধরনের ডাউনলোডেবল ফরম্যাট ও সাইজ দেখতে পাবেন।
মোবাইলে ইউটিউব ভিডিও ডাউনলোড
  • যেকোন পছন্দের সাইজ এ ক্লিক করুন আর ডাউনলোড করে নিন আপনার পছন্দের ভিডিওটি।
আরেকটি সহজ পদ্ধতিঃ
  • মোবাইলের ব্রাউজার থেকে YouTube এ চলে যান। গিয়ে আপনার পছন্দের ভিডিও টি প্লে করুন।
  • এবার ওই ভিডিও টির এড্রেস এ  youtube লিখাটির আগে  ss যোগ করে এন্টার/ওকে চাপুন। উদাহরণ হিসেবে- যদি ভিডিও টির মেইন এড্রেস টি হয়- https://www.youtube.com/watch?v=Gzewqj0yjoQ , তাহলে পরিবর্তীত এড্রেসটি হবে- https://www.ssyoutube.com/watch?v=Gzewqj0yjoQ, আপনাদের সুবিধার্থে  ss কে লাল রঙ করে দেয়া হল।
মোবাইলে ইউটিউব ভিডিও ডাউনলোড
  • এরপর দেখবেন আপনি নতুন একটি সাইটে চলে গিয়েছেন। সেখানে আপনার পছন্দের ভিডিও টির বিভিন্ন ফরম্যাট ও সাইজ থেকে আপনার পছন্দের সাইজ সিলেক্ট করুন। সাথে সাথেই ভিডিও টির ডাউনলোড শুরু হয়ে যাবে।
মোবাইলে ইউটিউব ভিডিও ডাউনলোড


শেষ কথাঃ

আমরা চেয়েছি ইউটিউব থেকে ভিডিও ডাউনলোড করার যত রকমের পদ্ধতি রয়েছে তার প্রায় সব গুলোই আপনাদের জানাতে। এবং সবচেয়ে সহজ পদ্ধতি গুলোই আমরা বেছে নিয়েছি। এবং চেয়েছিও সহজ ভাবে বুঝাতে।
তবুও যদি আপনি কোন স্টেপ বা পুরো পদ্ধতি টিই না বুঝে থাকেন, আমাদের জানাতে ভুলবেন না। আমাদের জানাতে আপনি কমেন্ট করতে পারেন এখানে বা আমাদের ফেসবুক পেজে জানাতে পারেন। আমরা আপনার কমেন্টের রিপ্লে দিয়ে অবশ্যই আপনাকে সাহায্য করব। আর এরকম আরো যদি টিউটোরিয়াল বা টিপস এন্ড ট্রিক্স জানতে চান আমাদের জানান। হয়তো আপনার অনুরোধই হবে আমাদের পরবর্তি পোস্ট। সে পর্যন্ত ভিজিট করুন আমাদের সাইট ও শেয়ার করুন আমাদের পোস্ট এবং আমাদের  ফেসবুক পেজে ঘুরে আসতে পারেন।

 ল্যাপটপ বা ডেস্কটপ থেকে স্কীনসট কিভাবে নেওয়া যায় ?

প্রখমে উইন্ডোজ বার থেকে  সেটিংস এ গিয়ে গেম বার অন করে নিন । 
নিচের চিত্রের মতো .........

 তারপর কি-বোর্ড থেকে উইন্ডোজ লগো বোতাম চেপে ধরে প্রিন্ট স্কীন কপি (prt sc sysrq) বোতাম চাপুন। এরপর অটোমেটিক স্কীণসট হয়ে যাবে। 

 
 উপরের ১ম চিত্রটি প্রিন্ট স্কীণশটের জন্য এবং দ্বিতীয়টি স্কীণশটের জন্য।
স্কীণসটটি উইন্ডোজ ফটো এর ভিতরে স্কীনসট নামক ফোল্ডার দেখতে পাবেন , সেখানে গেলেই পেয়ে যাবেন। 


ধন্যবাদ সাথে থাকার জন্য ।
আমাদের ফেসবুক পেইজ লাইকে দিয়ে সাথে থাকুন। 

লেখা বা ছবি কপি করা আইনত দন্ডনীয় অপরাধ

No comments

Theme images by enot-poloskun. Powered by Blogger.